সরকারি অফিস থেকে তথ্য চুরির অভিযোগে অফিসিয়াল সিক্রেটস আইনে করা মামলায় জামিনে থাকা দৈনিক প্রথম আলোর জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক রোজিনা ইসলামের পাসপোর্ট, দুটি মোবাইল ফোন ও পিআইডি কার্ড ফেরত চেয়ে করা আবেদন বাতিল করেছেন আদালত।
আজ রোববার মামলার শুনানি শেষে ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আবুবকর সিদ্দিক এ আদেশ দেন।
এসময় রোজিনার আইনজীবী এহসানুল হক সামাজি শুনানিতে অংশ নেন।
গত ১৫ সেপ্টেম্বর ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. আসাদুজ্জামান নূরের আদালতে এ আবেদন করেছিলেন রোজিনার আইনজীবী প্রশান্ত কুমার কর্মকার। এরপর এই বিষয়ে শুনানির জন্য আদালত আজকের (রোববার) দিন ধার্য করেন।
গত ২৩ মে অফিসিয়াল সিক্রেটস আইনের মামলায় রোজিনা ইসলামের জামিন মঞ্জুর করেন ঢাকা মহানগর হাকিম বাকি বিল্লাহ।
উল্লেখ্য, গত ১৭ মে রাতে শাহবাগ থানায় মামলা দায়েরের পর মঙ্গলবার (১৮ মে) রোজিনাকে আদালতে নেওয়া হয়েছিল। ওই দিন পুলিশের রিমান্ড আবেদন নাকচ করে দিয়ে এবং রোজিনার জামিন আবেদন অনিষ্পন্ন রেখে আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছিলেন।
মামলার এজাহারে বলা হয়, স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিবের একান্ত সচিব দাফতরিক কাজে সচিবের কক্ষে অবস্থান করার সময় রোজিনা ইসলাম তার কক্ষে প্রবেশ করেন।
তিনি দাফতরিক গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্রের ছবি মোবাইল ফোনে তোলেন এবং কিছু কাগজপত্র শরীরের বিভিন্ন স্থানে লুকিয়ে ফেলেন। এসময় দায়িত্বরত পুলিশ সদস্য মো. মিজানুর রহমান খান তাকে বাধা দিলে রোজিনা ইসলাম নিজেকে সাংবাদিক পরিচয় দেন।
এজাহারে আরও বলা হয়, পরে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ঘটনাস্থলে হাজির হন। এসময় অতিরিক্ত সচিব কাজী জেবুন্নেছা বেগম তল্লাশি করে রোজিনা ইসলামের কাছ থেকে বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র এবং নথিপত্রের ছবি সম্বলিত মোবাইল উদ্ধার করেন। এ ঘটনায় প্রতীয়মান হয় যে ডকুমেন্টসগুলো রোজিনা ইসলাম চুরি করে নিয়ে যাচ্ছিলেন।