বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) অনুমোদন পেলো ভারতের অন্ধ্র প্রদেশের রাজধানী হায়দরাবাদভিত্তিক ওষুধ কোম্পানি বায়োটেকের তৈরি করোনারোধী টিকা কোভ্যাক্সিন। এরই মধ্যে দিয়ে ভারতীয়দের দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান হলো। ফলে এখন থেকে বিদেশযাত্রায় অনেকটা সুবিধা পাবেন এই টিকাগ্রহীতারা।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির খবর অনুসারে, বুধবার (৩ নভেম্বর) কোভ্যাক্সিনকে জরুরি ব্যবহারযোগ্য টিকা হিসেবে অনুমোদন দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। ফলে অগণিত শিক্ষার্থীসহ এই টিকা নেওয়া কোটি কোটি ভারতীয় এবার বিভিন্ন দেশে প্রবেশের অনুমতি পেতে পারেন। এছাড়া যেসব ভারতীয় এই টিকা নিয়েছেন বা নেবেন তারা বিদেশ সফরে গেলে আর কোয়াররেন্টাইন অথবা করোনার অন্যান্য বিধি-নিষেধের আওতায় পড়বেন না।

জরুরি ব্যবহারের অনুমোদন পেতে দীর্ঘদিন অপেক্ষা করতে হয়েছে কোভ্যাক্সিনকে। নিজেদের তৈরি এই টিকার অনুমোদনের জন্য গত এপ্রিলে আবেদন করেছিল ভারত বায়োটক। গত জুলাইয়ে পাঠানো হয় টিকার সুরক্ষা, কার্যকারিতা, উৎপাদনস্থল পরীক্ষাসহ প্রয়োজনীয় তথ্যগুলো।

বাণিজ্য প্রতিদিনের সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

কিন্তু এরপরও ডব্লিউএইচও’র অনুমোদন না মেলায় সন্দিহান হয়ে পড়েন টিকাগ্রহীতারা, তাদের টিকা আদৌ বৈশ্বিক স্বীকৃতি পাবে তো!

এ অবস্থায় গত সপ্তাহে ভারত বায়োটেকের কাছে কোভ্যাক্সিনের উপকারিতা ও ঝুঁকি চূড়ান্ত মূল্যায়নের জন্য আরও কিছু তথ্যপ্রমাণ চায় টেকনিক্যাল অ্যাডভাইসরি গ্রুপ। স্বাধীন এই প্যানেলটি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার কাছে অনুমোদনের জন্য প্রয়োজনীয় সুপারিশ করে থাকে। তাদের দেওয়া তথ্য ও সুপারিশের ভিত্তিতে অবশেষে কোভ্যাক্সিনকে অনুমোদন দিলো বৈশ্বিক সংস্থাটি।

ভারতে বিশ্বের বৃহত্তম টিকাদান কর্মসূচিতে ব্যাপকভাবে কোভ্যাক্সিন ব্যবহার করা হয়েছে। নির্মাতাদের দাবি, এই টিকা উপসর্গযুক্ত কোভিড-১৯ মোকাবিলায় ৭৭ দশমিক ৮ শতাংশ কার্যকর, এমনকি ভয়ানক ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের বিরুদ্ধেও এটি ৬৫ দশমিক ২ শতাংশ সুরক্ষা দিয়ে থাকে।