মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা আধিদপ্তরের (মাউশি) নির্দেশনা অমান্য করে করোনাকালে টিউশন ফি আদায়সহ নানা অভিযোগে ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ কামরুন নাহারের পদত্যাগ দাবি করেছেন ‘সাধারণ অভিভাবকবৃন্দ’।

বুধবার (১৭ নভেম্বর) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির নসরুল হামিদ মিলনায়তনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে অভিভাবকদের এক অংশের পক্ষে আনিসুর রহমান আনিস এ দাবি করেন।

লিখিত বক্তব্যে আনিসুর রহমান আনিস বলেন, ২০২০ সালের ১৮ নভেম্বর মাউশির টিউশন ফি ছাড়া কোনো ফি ধার্য না করার নির্দেশ দিয়েছে এবং ২০২০ সালে যাদের কাছ থেকে অতিরিক্ত ফি আদায় করা হয়েছে তা ফেরত দিতে বা পরবর্তী বেতনের সঙ্গে সমন্বয় করতে বলা হয়েছে। অথচ এই অধ্যক্ষ তা না করে সরকারি আদেশ অমান্য করে ২০২১ সালের সেশন চার্জ বাবদ তিন হাজার টাকা করে আদায় করেছেন। এটি একটি শাস্তিযোগ্য অপরাধও বটে। তাই আমরা এ অধ্যক্ষের পদত্যাগ দাবি করছি।

বাণিজ্য প্রতিদিনের সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, প্রতি শুক্র ও শনিবার কর্মচারীদের স্বাস্থ্যঝুঁকিতে ফেলে সরকারি ও বেসরকারি সংস্থার বিভিন্ন ধরনের নির্বাচনী/নিয়োগ পরীক্ষা উপলক্ষে প্রতিষ্ঠানের শ্রেণিকক্ষ ভাড়া দিয়ে লাখ লাখ টাকা আয় করা হচ্ছে, যার সিংহভাগ অধ্যক্ষ আত্মসাৎ করছেন।

এতে বলা হয়, অধ্যক্ষের এই আত্মসাতের ব্যাপারে সহায়তা করছেন অবসরে যাওয়া অধ্যক্ষের পিএ দিলরুবা খাতুন। অবসরে যাওয়া এই পিএ বিনা বেতনে প্রতিদিন অফিস কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন শুধু অধ্যক্ষের অনৈতিক/অনিয়ম কার্যকলাপ গোপন ও আড়াল রাখার জন্য।

এতে আরও বলা হয়, ধর্ম অবমাননা করায় স্কুলের শিক্ষক জগদীশ চন্দ্র পালকে হাইকোর্টের আদেশে অপসারণ করা হলেও তাকে স্বপদে বহাল রাখেছেন অধ্যক্ষ। এছাড়া এক শিক্ষক দুই পদে থেকে বেতন-ভাতা উত্তোল করা, অভিভাবকদের জন্য গাড়ি পার্কিংয়ে আদায় করা টাকার সঠিক হিসাব না থাকায় সেটার সঠিক ব্যবহার না করা এবং অভিভাবকদের জন্য টয়লেটের ব্যবস্থা না রাখার মতো অভিযোগ তোলা হয় সংবাদ সম্মেলনে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে অধ্যক্ষ কামরুন নাহার বলেন, দীর্ঘদিন ধরে ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজ নিয়ে ষড়যন্ত্র চলছে। আজকের সংবাদ সম্মেলন এ ষড়যন্ত্রের অংশ।

সংবাদ সম্মেলনে উত্থাপিত অভিযোগ সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এগুলো মিথ্যা ও বানোয়াট।