সিরাজগঞ্জ জেলা শহরের বাজার স্টেশন এলাকায় অভিযান চালিয়ে বিলুপ্ত প্রায় দুটি রাজ ধনেশ পাখিসহ দুই চোরা কারবারিকে কারাদন্ডাদেশ দিয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। দন্ডাদেশপ্রাপ্তরা হলো- বগুড়ার দুপচাঁচিয়া থানার ডাঙ্গাপাড়া গ্রামের মোঃ আতোয়ার হোসেন (৫২) ও ময়মনসিংহ জেলা সদরের শস্যমালা পশ্চিমপাড়া গ্রামের জামাল উদ্দিনের ছেলে মোঃ শামীম আহমেদ (২৯)। সিরাজগঞ্জ জেলা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রওশন আলী এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, পৃথিবীর অন্যতম মূল্যবান ‘রাজ ধনেশ’ পাখিটি বাংলাদেশে বিলুপ্ত প্রায়। পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় এ পাখির অনেক অবদান।

গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গত বুধবার বিকেল সাড়ে ৩ টার দিকে বাজার স্টেশন এলাকায় অভিযান চালিয়ে দুটি রাজ ধনেশ পাখি উদ্ধারসহ আতোয়ার ও শামীমকে আটক করা হয়। এরপর সন্ধ্যায় তাদের ভ্রাম্যমাণ আদালতে সোপার্দ করা হলে ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পরাগ সাহা মোঃ আতোয়ার হোসেনকে এক বছর ও শামীম আহমেদকে ছয় মাসের কারাদন্ডের আদেশ দেন। ইংরেজিতে গ্রেট হর্নবিল নামের পাখিটিকে রাজ ধনেশ বলা হয় জানিয়েছেন সিরাজগঞ্জ সামাজিক বনায়ন নার্সারি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মামুনুর রশীদ খান। তিনি বলেন, বাংলাদেশে বিলুপ্ত প্রায় পাখিটি সিলেট,চট্টগ্রামসহ পাহাড়ি অঞ্চলে বসবাস করে। কিন্তু চোরা কারবারিদের লোলুপ দৃষ্টিতে পরে ধীরে ধীরে বিলুপ্তির দিকে যাচ্ছে বিলুপ্ত প্রায় এ পাখিটি। মিশ্র চিরসবুজ ‘রাজ ধনেশ’ পাখি সাধারণত সব বনেই বাস করত। এখন চট্টগ্রাম, সিলেট, কক্সবাজার ও তিন পার্বত্য বন বিভাগের গহীন জঙ্গলে কালে ভদ্রে দু’একটি চোখে পড়ে। বাংলাদেশ ছাডাও নেপাল, ভারত,মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়ায় রাজ ধনেশ পাখি পাওয়া যায়।

অসাধু কিছু চক্র ধনেশ পাখি শিকার করে ‘ধনেশের তেল’ বিক্রি করে। এছাড়া অনেকে মাংস হিসেবে ধনেশধরে খেয়ে থাকে। এ কারণে ‘রাজ ধনেশ’ পাখি এখন অস্তিত্ব সংকটে পড়েছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।

বাণিজ্য প্রতিদিনের সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন