খুলনার সাতরাস্তা মোড়ে বিক্ষোভকালে বুধবার (৩১ জুলাই) বেলা সোয়া দুইটার দিকে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ শুরু হয়। এ সময় বিপুল সংখ্যক পুলিশ, বিজিবি দুই দিক দিয়ে তাদের আটকে রাখে। এতে উত্তেজনায় এক পর্যায়ে সংঘর্ষ বেধে যায়। পুলিশ লাঠিচার্জ ও টিয়ারসেল নিক্ষেপ করে শিক্ষার্থীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়।

এর আগে সারাদেশে ছাত্র হত্যার বিচারের দাবিতে ‘মার্চ ফর জাস্টিস’ কর্মসূচি চলাকালে ২৩ শিক্ষার্থীকে আটক করে পুলিশ। বুধবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে নগরীর রয়েল মোড় ও ময়লাপোতা মোড়ে মিছিলের চেষ্টাকালে তাদের আটক করা হয়।

এ সময় ওই নগরীর গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপক তল্লাশি চালায় পুলিশ। এসময় পুলিশকে মোবাইল চেক করতে দেখা যায়। আটক করা হয় অনেককে। মোট কত শিক্ষার্থীকে আটক হয়েছে, সেই তথ্য জানাতে পারেনি পুলিশ।

বাণিজ্য প্রতিদিনের সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

এদিকে পুলিশে ধাওয়া খেয়ে শিক্ষার্থীদের একটি অংশ আহসানুল্লাহ কলেজে আশ্রয় নেয়। তারা ভবনের ভেতর প্রবেশ করে তালা লাগিয়ে দেয়। পরে তালা ভেঙে তাদের আটক করে পুলিশ।

দুপুর দেড়টার পরে ছাত্রলীগের কিছু নেতাকর্মী ডালমিল মোড় থেকে লাঠি নিয়ে মিছিল বের করে। পুলিশ আন্দোলনকারী ভেবে তাদের ধাওয়া দিলে এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। পরে শেরেবাংলা রোড থেকে ছাত্রলীগের আরেকটি মিছিল ময়লা পোতা হয়ে সাত রাস্তার দিকে চলে যায়।

দুপুর ২টায় আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের আরেকটি অংশ মিছিল নিয়ে রয়েল মোড়ে অবস্থান নেয়।

খুলনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কামাল হোসেন বলেন, গতকালই আমাদের ঘোষণা দেওয়া ছিল আর কোনো ছাত্রকে আন্দোলন করতে দেওয়া হবে না। তারা আইন নিজেদের হাতে নিয়েছে। আমাদের ওপর হামলা করেছে। পুলিশ বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে।

উল্লেখ্য, শিক্ষার্থীদের কোটা আন্দোলনে দেশের বিভিন্ন জেলায় সংঘর্ষ ও হাতাহাতের ঘটনা ঘটলেও খুলনায় শান্তিপূর্ণভাবে আন্দোলন চলছিল।

এসকে