মাদারীপুরের রাজৈর সোনালী ব্যাংকে  সাহায্যের পরিবর্তে প্রতারণার শিকার হলেন ক্যান্সার আক্রান্ত রাজু নামের এক ব্যক্তি। ব্যাংক  থেকে টাকা সাহায্য এনে দেওয়ার কথা বলে উক্ত ব্যক্তির নামে ব্যাংক লোন করে টাকা উত্তোলন করে নিয়ে গেছে এক প্রতারক।চার মাস পরে ব্যাংক লোনের টাকা নিতে লোক পাঠান ব্যাংকের কর্মকর্তা প্রশান্ত কুমার মন্ডল। এরপর নেমে আসে চোখে মুখে ধোঁয়াশার কান্না। তিনি গেলেন সাহায্য আনতে হয়ে গেলেন প্রতারণার শিকার।

ভুক্তভোগী পরিবার ও স্হায়ীয় সূত্রে জানা যায়, রাজৈর উপজেলার মৃত্যু শেখ তছলিমের ছেলে রাজু করতেন রংমিস্ত্রির কাজ তা দিয়ে ভালোই চলছিল তাদের সংসার। হঠাৎ তার শরীরে বাসা বাঁধে মরণব্যাধির  রোগ। এজন্য বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসালে করাতে গিয়েই বিক্রি করতে হয়েছে সহায় সম্বল। এরপরে টাকার অভাবে চিকিৎসা করাতে না পেরে চলে আসেন নরার কান্দি দাসের বাগান গ্রামের বাড়িতে। এলাকার লোকের সাহায্য সহযোগিতায় দু একদিন ওষুধ কিনতে পারলেও কিনতে পারতো না ছেলে মেয়ের মুখে খাবার। তারপরও অসুস্থ শরীর নিয়ে বিভিন্ন বাজারে দোকানে গিয়ে মানুষের কাছে হাত পেতে যা পেতেন খাবারের টাকা হলেও হতো না ঔষধ কেনার টাকা।

একদিন রাজৈর বাজার সোনালী ব্যাংকের নিচে কিছু লোকের কাছে সাহায্য চাইতে গেলে এক প্রতারক বলে সোনালী ব্যাংক থেকে চিকিৎসা জন্য সাহায্য দেয়।তখন তিনি প্রতারকের কথায় রাজি হলে, প্রতারক বেধে দেয় শর্ত ২০ হাজার টাকা এনে দিলে তাকে দিতে হবে পাচঁ হাজার টাকা। ঔষধ এবং ছেলে-মেয়ের খাবারের কথা চিন্তা করে রাজি হয় প্রতারকের কথায়। তাদের দেওয়া একটি ফরমে সই করার পরে ভোটার আইডি কার্ডের ফটোকপির সাথে স্ত্রী ও তার ছবি দেওয়ার তিন ঘন্টা পরে ব্যাংকে বসে তাকে ১৬ হাজার টাকা হাতে দিয়ে চলে যান প্রতারক চক্র।

বাণিজ্য প্রতিদিনের সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

এর চার মাস পরে কিস্তির টাকা আনতে যায় সোনালী ব্যাংকের কর্মকর্তা প্রশান্ত কুমার মন্ডল। পরে র‍্যাংক কর্তামকর্রতা বলেন আপনার নামল ৭০ হাজার টাকার একটি কৃষি লোন আছে। তাই কিস্তি টাকা নিতে আসলাম।এরপরেই জানতে পারেন যে প্রতারকরা তার কাগজ-পত্র নিয়ে তার নামে ঋণ করে বাকি টাকা নিয়ে পালিয়ে গেছেন।

রাজুর প্রতিবেশী রুবিনা,বেলায়েত,আলমগীরসহ বেশ কয়েকজন জানান, সরলতার সুযোগ নিয়ে ব্যাংকের কিছু কর্মকর্তারা প্রতারকের সাথে মিলে প্রতারণা করেছে এভাবে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে আমরা এর বিচার চাই।

প্রতারণার শিকার রাজু শেখ বলেন, আমাকে সাহায্য দেওয়ার কথা বলে নিয়ে আমার সাথে প্রতারণা করছে। আমিতো দিন এনে দিন খাইতে আমার কষ্ট হয় আমি ভিক্ষা করে চলি। আমার সাথে যে প্রতারণা করছে আমি তাদের বিচার চাই।

মাদারীপুর জেলা জর্জ কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট সোহেল আহমেদ বলেন ব্যাংকের লোকের সাথে দালালের একটা সম্পর্ক থাকতে পারে দালাল এবং ব্যাংকের কর্মকর্তা মিলে মানুষের সাথে প্রতারণা করছে তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হওয়া উচিত এবং ভুক্তভোগী যদি মামলা করতে চায় তাহলে আমারা তাকে আইনি সহায়তা দিবো।

রাজৈর সোনালী ব্যাংকের ম্যানেজার প্রশান্ত কুমার মন্ডল জানান রাজুর সাথে যে বিষয়টি ঘটেছে সেটা আমরা খতিয়ে দেখব।তার নামে যে লোন হয়েছে তা আমারা ক্লোজ করে দিয়েছি। আর ব্যাংকের সাথে কেহ যদি এর সাথে যুক্ত থাকে তাহলে আমার তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিবো।

এনজে