Top

মতলব উত্তরে লাইটিং পদ্ধতিতে ড্রাগন চাষ

১৫ নভেম্বর, ২০২৪ ৪:৩২ অপরাহ্ণ
মতলব উত্তরে লাইটিং পদ্ধতিতে ড্রাগন চাষ
মতলব উত্তর (চাঁদপুর) প্রতিনিধি :

চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলা রাতের বেলায় বৈদ্যুতিক বাতি জ্বালিয়ে চাষ হচ্ছে ড্রাগন ফল। শীতকালে রাতের বেলা দিনের পরিবেশ সৃষ্টি করে ড্রাগন চাষের এমনই উদ্যোগ নিয়ে ভালো ফলন পেয়েছেন উপজেলার সাদুল্লাপুর গ্রামের বাসিন্দা সিকোটেক্স এ্যাগ্রো লিমিটেড এর পরিচালক নাছির উদ্দীন সরকার। তিনি তার গ্রামে ১০ একর জমিতে এ পদ্ধতিতে ড্রাগন চাষ করেছেন। তার সফলতা দেখে এখন অনেকেই এ পদ্ধতিতে ড্রাগন ফল চাষ করতে আগ্রহী হয়ে উঠছেন।

জানা যায়, দিনের দৈর্ঘ্য কমে গেলে শীতকালে ড্রাগনের ফুল ফল ধরে না। মার্চ মাসের শেষে ফুল ধরে। তাপমাত্রা বাড়লে ফল বড় হয়। জুন মাস থেকে বাজারে ড্রাগন ফল উঠতে শুরু করে। আর নভেম্বর মাসের শেষ পর্যন্ত ফল পাওয়া যায়। কিন্তু শীতকালে ডিসেম্বর থেকে মার্চ মাস পর্যন্ত ফল ধরে না।

সিকোটেক্স এ্যাগ্রো লিমিটেড এর পরিচালক নাছির উদ্দীন সরকার বলেন, আমি গত ৩ বছর আগে নাটোর থেকে ৬০টি ড্রাগনের চারা এনেছিলাম শখের বসে, দেখলাম এটাতে ভালো ফল হয়। পরবর্তীতে ইউটিউব ঘেটে টাংগাইল গিয়ে অনেক বড় বাগান দেখে আমি আরো উদ্বুদ্ধ হলাম। সেখান থেকে আরো গাছের চারা সংগ্রহ করে আমার নিজ জমিতে ২০২২ সালে ড্রাগন বাগান তৈরি করি।

২০২২ ও ২৩ সাল পর্যন্ত সাধারণ পদ্ধতিতে চাষ করেছি। নওগাঁর আমার এক বন্ধু ইঞ্জিনিয়ার আজাদ শীতকালে ড্রাগন ফল চাষের প্রযুক্তি সংগ্রহ করে দেন আমাকে। সেপ্টেম্বর মাসে ড্রাগন খেতে লাইট বসানো শুরু করি। চীন থেকে আনা ২ হাজার লাইট ক্ষেতে সেট করেছি। প্রতিদিন সন্ধ্যায় ৩ ঘণ্টা ও সূর্যোদয়ের আগে আরো ৩ ঘণ্টা লাইটগুলো জ্বালানো হয়। ফলে দিনের আলোর মতো হয়ে যায়। লাইটিংয়ের ফলে রাতে তাপমাত্রা বৃদ্ধি পায় ও দিনের দৈর্ঘ্য বাড়ে। এতে বাগানে বেশি পরিমাণ ফুল ও ফল ধরছে। বর্তমানে বাগান ফুল-ফলে ভরে গেছে।

তিনি জানান, নতুন পদ্ধতিতে আগের চেয়ে ৬-৭ টন বেশি ফলন হবে। প্রতিটি খুঁটিতে ৭ থেকে ৮ কেজি ফলন বৃদ্ধি পাবে। এতে করে তিন গুণ ফলন বেশি বৃদ্ধি পাবে। গ্রীস্ম মৌসুমে ফলের দাম কম থাকে। শীত মৌসুমে দাম বেশি পাওয়া যাবে।

মতলব উত্তর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ফয়সাল মোহাম্মদ আলী জানান, কৃষকরা কৃত্রিম আলো ব্যবহারে দিনের দৈর্ঘ্য বাড়ানোর হয়, শীতকালে যখন দিনের দৈর্ঘ্য কমে আসে তখনই পদ্ধতিটা ব্যবহার করে। এই পদ্ধতিটা এখন অনেক জায়গায় শুরু করেছে। এতে করে উৎপাদন যেমন বাড়বে তেমনি বাইরে থেকে আমদানি কমানো সম্ভব হবে।

এম জি

শেয়ার