অভিবাসী অধিকার সংস্থা কামিনদাদো ফ্রন্তেরাস জানাচ্ছে, ২০২৪ সালে স্পেনে পৌঁছাতে চেয়ে দশ হাজারের বেশি অভিবাসনপ্রত্যাশী মারা গেছেন বা নিখোঁজ হয়েছেন৷

গত বৃহস্পতিবার স্পেনভিত্তিক অভিবাসী অধিকার বিষয়ক সংস্থা কামিনদাদো ফ্রন্তেরাস জানায়, এই সংখ্যা ১০ হাজার ৫৪৭জনে পৌঁছেছে৷ কামিনদাদো ফ্রন্তেরাস অর্থ পায়ে হাঁটা সীমান্ত৷

এই সংস্থার মতে, ২০২৩ সালের তুলনায় এই সংখ্যাটি ৫০ শতাংশেরও বেশি৷ কামিনদাদো ফ্রন্তেরাস বলছে, আমাদের রাইট টু লাইফ ২০২৪ প্রতিবেদনটি সবচেয়ে মারাত্মক সময়কে ধারণ করেছে, যা বলছে, দিনে গড়ে ৩০জন মারা যাচ্ছেন৷ এটা রেকর্ড৷ মৃতদের মধ্যে অন্তত ৪২১জন নারী ও এক হাজার ৫৩৮জন শিশু বা অপ্রাপ্তবয়স্ক রয়েছে৷ ২০২৩ সালে গড়ে প্রতিদিন এভাবে ১৮জন মারা গিয়েছিল৷

বাণিজ্য প্রতিদিনের সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

বাঁচার অধিকার প্রাধান্য পাচ্ছে না কামিনদাদো ফ্রন্তেরাস সাগরে নৌকাডুবি ও অভিবাসনপ্রত্যাশীদের মৃত্যুর বিষয়ে বলেছে, ঝুঁকিতে থাকা ব্যক্তিকে উদ্ধারের দায়িত্ব ও মানুষের বাঁচার অধিকারের বদলে অভিবাসী নিয়ন্ত্রণের দিকটি বেশি প্রাধান্য পাচ্ছে৷

সংস্থাটির প্রতিষ্ঠাতা, হেলেনা মালেনো এক বিবৃতিতে বলেন, এই সংখ্যাগুলি আমাদের উদ্ধার ও সুরক্ষা ব্যবস্থাগুলির গভীর ব্যর্থতাকে তুলে ধরে৷ দশ হাজার ৪শজনেরও বেশি মানুষ এক বছরে নিখোঁজ হয়েছেন, এই ট্র্যাজেডি মেনে নেওয়া যায় না৷

সাগরপথে স্পেনে পাড়ি দেবার যতগুলি পথ রয়েছে, তার মধ্যে আটলান্টিক সাগরপথকে সবচেয়ে বিপজ্জনক হিসেবে উল্লেখ করেছে কামিনদাদো ফ্রন্তেরাস৷ এই পথে এবছর মারা গেছেন নয় হাজার ৭৫৭জন৷ মৌরিতানিয়া থেকে স্পেনের ক্যানারি দ্বীপপুঞ্জে আসার পথেও বেড়েছে মৃত্যু৷

বিপজ্জনক পথের তালিকায় আছে আলজেরিয়া থেকে আসা ভূমধ্যসাগরের পথটিও, যেখানে প্রাণ হারান ৫১৭জন৷ স্পেনের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মতে, এ বছরের ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত, নৌকায় চেপে ৫৭ হাজার ৭০০জনেরও বেশি অভিবাসনপ্রত্যাশী স্পেনে এসে পৌঁছেছেন৷ সংখ্যাটি গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ১২ শতাংশ বেশি৷ এর মধ্যে বেশিরভাগ অভিবাসনপ্রত্যাশীই এসেছেন আটলান্টিক হয়ে৷

বিএইচ