কুষ্টিয়ায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে ও উপসর্গ নিয়ে মৃত্যুর মিছিল কিছুতেই থামছে না। প্রতিদিনই শনাক্ত এবং মৃত্যুর নতুন রেকর্ড তৈরি হচ্ছে। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে এবং উপসর্গ নিয়ে কুষ্টিয়া ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের করোনা ইউনিটে আরো ২২ জনের মৃত্যু হয়েছে।

২৪ ঘন্টায় এখনও পর্যন্ত জেলার সর্বোচ্চ মৃত্যুর ঘটনা। কুষ্টিয়া করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতালে করোনা আক্রান্ত হয়ে ১২ জন এবং করোনার লক্ষণ নিয়ে আরো ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর আগের ২৪ ঘন্টায় যেখানে করোনা আক্রান্ত এবং উপসর্গ নিয়ে ১৭ জনের মৃত্যু হয়েছিল। চলতি মাসেই করোনা আক্রান্ত এবং উপসর্গ নিয়ে হাসপাতালে ১৯ জনের মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছিল।

শুক্রবার সকাল সাড়ে ৯ টায় কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা: এম এ মোমেন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

বাণিজ্য প্রতিদিনের সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

এদিকে হাসপাতালে করোনা আক্রান্ত এবং উপসর্গ নিয়ে রোগী ভর্তির চাপ অব্যাহত রয়েছে। ২৫০ বেডের করোনা ডেডিকেটেড এই হাসপাতালটিতে এখন শয্যার চেয়ে করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেশি। করোনা আক্রান্ত এবং উপসর্গ নিয়ে শুক্রবার সকাল সাড়ে ৯ টা পর্যন্ত ২৮০ জন রোগী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এর মধ্যে করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যাই ১৮৭ জন। আর উপসর্গ নিয়ে ভর্তি রয়েছেন আরো ৯৩ জন। হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা: তাপস কুমার সরকার জানান, হাসপাতালে শয্যা না থাকায় এখন রোগীদের মেঝেতে ও করিডোরে রাখতে হচ্ছে। হাসপাতালে এখন করোনা রোগীদের ভিড়ে তিল ধারণের জায়গা নেই। প্রতিদিনই হাসপাতালে করোনা আক্রান্ত এবং উপসর্গ নিয়ে আসা রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। রোগীর চাপ যেভাবে বাড়ছে তাতে সেবা প্রদান করা কঠিন হয়ে দাঁড়াবে বলে তিনি মন্তব্য করেন।

এদিকে কুষ্টিয়া পিসিআর ল্যাবে গত ২৪ ঘণ্টায় জেলায় ৭৯২ টি নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে নতুন করে ২২০ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। শনাক্তের হার ২৭ দশমিক ৭৭ ভাগ। এ নিয়ে জেলায় করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা গিয়ে দাঁড়ালো ৯ হাজার ৮৮৪ জনে। এর মধ্যে সুস্থ হয়েছেন ৬ হাজার ২৭৫ জন। মৃত্যের সংখ্যা গিয়ে দাঁড়িয়েছে ২৯৬ জনে। নতুন করে শনাক্ত হওয়া ২২০ জনের মধ্যে রয়েছেন কুষ্টিয়া সদর উপজেলায় ৮৩ জন, দৌলতপুর উপজেলায় ৫৯ জন, কুমারখালী উপজেলায় ২৬ জন, ভেড়ামারা উপজেলায় ৩৪ জন, মিরপুর উপজেলায় ১১ জন ও খোকসা উপজেলায় ০৭ জন। এখন পর্যন্ত জেলায় ৭০ হাজার ৮০ জনের নমুনা পরীক্ষার জন্য নেওয়া হয়েছে। নমুনা পরীক্ষার প্রতিবেদন পাওয়া গেছে ৬৬ হাজার ৬৯৪ জনের। বাকিরা নমুনা পরীক্ষার প্রতিবেদনের অপেক্ষায় রয়েছেন। বর্তমানে কুষ্টিয়ায় সক্রিয় করোনা রোগীর সংখ্যা ৩ হাজার ৩১৩ জন। এদের মধ্যে হাসপাতালে আইসোলেশনে চিকিৎসাধীন আছেন ২৭৯ জন এবং হোম আইসোলেশনে আছেন ৩ হাজার ৩৪ জন।