ফেনী সদর উপজেলার বালিগাঁও ইউনিয়নের ফকিরহাটে আমজাদ হোসেন বাবলু হত্যা মামলায় একমাত্র আসামী মো: আবু ইউসুফকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড দিয়েছে আদালত। সেই সঙ্গে আসামিকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও এক মাসের সশ্রম কারাদন্ড দেওয়া হয়েছে।
দন্ডপ্রাপ্ত ইউসুফ ফেনী সদর উপজেলার কাতালিয়া গ্রামের সুলতান আহম্মদের ছেলে।

রবিবার জেলা ও দায়রা জজ ড. বেগম জেবুননেছা রায় ঘোষণা করেন। রাষ্ট্রপক্ষের সরকারি কৌসুলি হাফেজ আহম্মদ জানান, বাবলু হত্যা মামলায় ৩০২ ধারায় আদালত যাবজ্জীবন কারাদন্ড, ১০ হাজার টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে আরো এক মাসের কারাদন্ড প্রদান করা হয়। এ রায়ে রাষ্ট্রপক্ষ সন্তুষ্ট।অভিযুক্ত আসামী মো: আবু ইউসুফ ইউনুছককে কারাগারে পাঠানো হয়।

বাদিপক্ষের আইনজীবি জাহিদ হোসেন খসরু জানান, আমরা আশা করেছিলাম সর্বোচ্চ সাজা হবে। রায়ের কপি পেলে উচ্চ আদালতে আপিলের বিষয়ে বিবেচনা করা হবে। এর আগে গত ১ ডিসেম্বর মঙ্গলবার যুক্তিতর্ক শেষে রায় ঘোষণার তারিখ ধার্য করেন। ২৯ নভেম্বর আদালত ফৌজদারি কার্যবিধির ৩৪২ ধারায় আসামি মো: ইউনুছকে পরীক্ষা করেন।

বাণিজ্য প্রতিদিনের সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

এ মামলায় বাদি আমির হোসেন রিপন, রফিকুল ইসলাম সাহেদ, খোরশেদ আলম সুজন, ইকবাল হোসেন, একরামুল হক বাবুল, সামছুদ্দীন, মোমিনুল ইসলাম, তদন্ত কর্মকর্তা এসআই গোলাম কিবরিয়া, এসআই সাজিদ কামাল, ডা: প্রদীপ কুমার, বিচারক আলমগীর মোহাম্মদ ফারুকী, পুলিশ কনস্টেবল জসিম উদ্দিন সাক্ষ্য দেন।

মামলার কাগজপত্রের তথ্য অনুযায়ী, ২০১৪ সালের ১৩ নভেম্বর ফকিরহাট বাজারে এই বাবলুকে নৃশংসভাবে কুপিয়ে খুন করা হয়। গুরুতর অবস্থায় আমজাদকে উদ্ধার করে ফেনী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে অবস্থার অবনতি পরে তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হলে আমজাদ হোসেন মারা যান। এ মামলায় তার বড় ভাই আমির হোসেন রিপন বাদী হয়ে ফেনী মডেল থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।

গ্রেফতারের পর ইউনুছ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আলমগীর মোহাম্মদ ফারুকীর আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিম‚লক জবানবন্দি দিয়েছেন। মামলাটি তদন্ত করে পরের ২০১৫ সালের ৩১ ডিসেম্বর আদালতে অভিযোগপত্র দেয়া হয়। ২০১৬ সালের ২৪ আগস্ট অভিযোগ গঠন হয়।