২৬ মার্চ থেকে আন্তঃনগর ট্রেনের টিকিট ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব যাচ্ছে সহজ লিমিটেডে। উন্মুক্ত দরপত্রের মাধ্যমে সহজ এ কাজ পেয়েছে। গত ১৫ বছর ধরে এ দায়িত্ব পালন করে আসছিল সিএনএস নামে একটি প্রতিষ্ঠান।

সিএনএসের সঙ্গে চুক্তির মেয়াদ শেষ হওয়ায় গত ১৫ ফেব্রুয়ারি সহজ-সিনেসিস-ভিনসেন জেভির সঙ্গে বাংলাদেশ রেলওয়ের টিকিটিং সিস্টেম পরিচালনার জন্য পাঁচ বছর মেয়াদি চুক্তি সই হয়েছে। সোমবার সকালে রেলপথমন্ত্রী মো. নূরুল ইসলাম সুজন রাজধানীর রেলভবনে সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান।

তিনি বলেন, চুক্তি অনুযায়ী সহজ-সিনেসিস-ভিনসেন জেভি প্রাথমিকভাবে চলমান সিসিএসআরটিএস সিস্টেমটি সচল রাখবে। পরবর্তী ১৮ মাসের মধ্যে সিসিএসআরটিএস সিস্টেমটি বিআরআইটিএস দ্বারা প্রতিস্থাপিত হবে।

বাণিজ্য প্রতিদিনের সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

মন্ত্রী জানান, ২০ মার্চ পর্যন্ত সিএনএস লিমিটেড রেলওয়ের আন্তঃনগর ট্রেনের কম্পিউটারাইজড টিকিটিং পরিচালনা করবে। ৭৭টি স্টেশনে সহজ-সিনেসিস-ভিনসেন জেভি কম্পিউটার টিকেটিং সিস্টেম পুনরায় সচল রাখার জন্য সিস্টেমে কিছু কার্যক্রম সম্পাদন করতে হবে যার জন্য ন্যুনতম পাঁচ দিন সময় প্রয়োজন হবে।

তিনি বলেন, যেহেতু বাংলাদেশ রেলওয়ের টিকিট ইস্যু কার্যক্রম একদিনও বন্ধ রাখার সুযোগ নেই, সেহেতু টিকিট ইস্যু কার্যক্রম সফলভাবে সচল রাখার লক্ষ্যে ২১-২৫ মার্চ পর্যন্ত পাঁচ দিন অনলাইনে এবং কাউন্টারে কম্পিউটারের মাধ্যমে টিকিট ইস্যু করার পরিবর্তে ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে শতভাগ টিকিট ইস্যু করা হবে। ২৬ মার্চ থেকে সহজ-সিনেসিস-ভিনসেন জেভির মাধ্যমে বাংলাদেশ রেলওয়ের কম্পিউটারাইজড টিকিটিং সিস্টেম পুনরায় চালু করা হবে।

রেলমন্ত্রী জানান, ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে পাঁচ দিনের পরিবর্তে দুই দিনের অগ্রিম টিকিট ইস্যু করা হবে। সব টিকিট উন্মুক্ত থাকবে। কোনো কোটা বা আসন সংরক্ষিত থাকবে না।

বাংলাদেশ রেলওয়েতে ১৯৯৪ সালে কম্পিউটার ভিত্তিক টিকিটিং সিস্টেম চালু করা হয়। আগে ২৭ টি স্টেশনে কম্পিউটারের মাধ্যমে টিকিট ইস্যু করা হতো। বর্তমানে ১০৪টি আন্তঃনগর ট্রেনের টিকিট ৭৭টি স্টেশনে কম্পিউটারের মাধ্যমে ইস্যু করা হচ্ছে।

দৈনিক প্রায় ৯০ হাজার ও মাসিক প্রায় ২৭ লক্ষ যাত্রীর টিকিট কম্পিউটারের মাধ্যমে ইস্যু করা হয়। টিকিটের ৫০ শতাংশ অর্থাৎ প্রায় ১৩ লাখ টিকিট অনলাইন/মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে ইস্যু করা হচ্ছে।

রেলমন্ত্রী বলেন, রেলকে আধুনিক ও যুগোপযোগী করার লক্ষ্যে আমরা কাজ করছি। মানুষকে আরও ভালো সেবা দেয়ার উদ্দেশ্যে আমরা নতুন কোম্পানিকে দায়িত্ব দিয়েছি। কারণ রেলওয়ের টিকেট বিক্রিতে স্বচ্ছতা আনা ও সহজলভ্য করাই আমাদের মূল লক্ষ্য।

বাংলাদেশ রেলওয়ের টিকেট বিক্রির নিজস্ব সক্ষমতা এখনও গড়ে ওঠেনি। কাজেই এ ক্ষেত্রে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের ওপর নির্ভর করতে হচ্ছে বলে জানান মন্ত্রী।