আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, প্রধানমন্ত্রীর ঐকান্তিক ইচ্ছা মামলজট কমিয়ে আনা। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭২ সালে বলেছিলেন, বিচারের বাণী নিভৃতে কাঁদে- আমরা এমন অবস্থা চাই না। মানুষ যাতে ন্যায্য বিচার পায় এবং ন্যায্য বিচারটি যেন অতি দ্রুত পায়, সেই ব্যবস্থা চাই।

বুধবার (৩০ মার্চ) রাজধানীর বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে আয়োজিত অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন আইনমন্ত্রী। দেশের বিভিন্ন জেলার বিচারকদের মধ্যে গাড়ির চাবি হস্তান্তর উপলক্ষে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

এ সময় মন্ত্রী জেলা ও দায়রা জজ আদালত, চিফ মেট্রোপলিটান ম্যাজিস্ট্রেট আদালত ও চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারকদের ব্যবহারের জন্য ১৬টি মাইক্রোবাসের চাবি হস্তান্তর করেন।

বাণিজ্য প্রতিদিনের সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

সাত কোটি তিন লাখ ৫২ হাজার টাকা ব্যয়ে কেনা মাইক্রোবাস হস্তান্তর অনুষ্ঠানে আনিসুল হক বলেন, অতীতে অনেক জেলা জজ রিকশায় চড়ে আদালতে আসা-যাওয়া করতেন।

‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার এই অবস্থার পরিবর্তন এনেছে। বিচারকদের মর্যাদা রক্ষায় যেটা করা দরকার সেটা করে দিচ্ছে। গুণগত মানসম্পন্ন গাড়ি দিচ্ছে। আদালত প্রাঙ্গণের কাছাকাছি বিচারকদের আবাসনের ব্যবস্থা করা জন্য প্রকল্প গ্রহণ করা হচ্ছে।’

মানুষ এখনো মনে করে আদালত হচ্ছে তার বিচার পাওয়ার শেষ আশ্রয়স্থল। মানুষের সেই আশ্রায়স্থল যেন নিশ্চিত থাকে- বিচারকদের সেভাবে কাজ করার আহ্বান জানিয়ে আনিসুল হক বলেন, ‘জাস্টিস ডিলেইড ইজ জাস্টিস ডিনাইড’ এ কথাটি যেমন সত্য, তেমনি ‘জাস্টিস হারিড ইজ জাস্টিস বারিড’ এ কথাটিও সত্য। সে কারণে এর একটি ব্যালান্স বা ভারসাম্য আনা খুব প্রয়োজন।

তিনি বলেন, আঠারো বা উনিশ শতকে যে ফৌজদারি বা দেওয়ানি কার্যবিধি লেখা হয়েছিল সেখানে কিন্তু অনেক সংশোধন করা সম্ভব। সেখানে বিচারের জন্য যে সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছিল- বিশেষ করে দেওয়ানি কার্যবিধিতে, সেই সময় কিন্তু এখন কমিয়ে আনা যায়।

দেওয়ানি কার্যবিধিতে সংশোধন করে সময় কমিয়ে এনে দেওয়ানি মামলা যাতে দ্রুত নিষ্পত্তি করা যায় সেই চিন্তা ভাবনা করছে সরকার। শিগগির এর একটি রূপরেখা তৈরি করা সম্ভব হবে। এটা করতে পারলে বিচার বিভাগের ওপর জনগণের আস্থা বাড়বে বলে মনে করেন মন্ত্রী।

এ সময় আইন ও বিচার বিভাগের সচিব মো. গোলাম সারোয়ার, যুগ্ম সচিব উম্মে কুলসুমসহ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।