সর্বশেষ
২১ নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ |
২১ নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ |
ফুলছড়ি উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান হাবিবুরর রহমান বলেন, লাল সোনার চর হিসাবে মানুষের কাছে বিশেষ পরিচিতি লাভ করেছে চর গুলো । কারন মৌসুমে মৌসুমে দুর থেকে চর গুলোতে লাল মরিচ শুকানোর ধুম পড়ে । সেকারনে বালুচর হয়ে ওঠে রঙ্গিন । তাই বালুচরের মরিচকে বলা হয় লাল সোনা । কারন মরিচ চাষ করেই চরাঞ্চলের অধিকাংশ কৃষক স্বাবলম্বী হয়েছে। তিনি বলেন গাইবান্ধার চার উপজেলা সুন্দরগঞ্জ,ফুলছড়ি ,সাঘাটা ও গাইবান্ধা সদর উপজেলার ১ শ ৬৫ টি চরাঞ্চলে এখন মরিচ শুকানো ও ওঠানোর কাজে ব্যস্ত নারী পুরুষ।
ফুলছড়ির উপজেলার চেয়ারম্যান সেলিম পারভেজ বলেন,গাইবান্ধার কামারজানি,মোল্লারচর,এ্যারেন্ডাবাড়ি ,সুন্দরগঞ্জের কাপাসিয়া,শ্রীপুর ,হরিপুর ,বেলকা ,ফুলছড়ি উপজেলার ফুলছড়ি ,গজারিয়া,উড়িয়া ,রতনপুর ,সাঘাটা উপজেলার সাঘাটা ,হলদিয়া ,ভরতখালী, সহ অন্তত ২২ টি চরে ব্যাপক মরিচের চাষ হয়েছে। উৎপাদনও ভালো ।
মোল্লারচর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সাইদুজ্জামান সরকার জানান,মরিচ চাষে খরচও কম । কিন্তু লাভের পরিমান অনেক বেশি । তাই চরাঞ্চল জুড়ে মরিচের চাষ হয়ে থাকে । মচির যখন পাকতে শুরু করে তখন ঢাকা থেকে বড় বড় কোম্পানীন ,স্কয়ার,ব্যাক্সিমকো,প্রান সহ বিভিন্ন কোম্পানীর লোকজন লাল সোনার চরের হাট গুলোতে আড়ত খুলে বসে । সেখান থেকে মরিচ কিনে নিয়ে যান ঢাকায়। তাছাড়া জমি থেকেও কৃষকদের কাছে সরাসরি মরিচ কেনা বেচার হয় বলে জানাগেছে।
স্থানীয় কৃষক আবেদ আলী জানান ,তার চার বিঘা জমির মরিচ গাছে থাকা অবস্থায় প্রান কোম্পানীর লোকজন এসে নগদ টাকায় কিনে নেয়।
মরিচ চাষী হাবিবুর রহমান জানান ,তিনি তার ২ বিঘা জমিতে মরিচ চাষ করেন । এতে তার ৩০ হাজার টাকা খরচ হয়। কিন্তু তিনি মরিচ বিক্রি করেন ১ লাখ টাকা ।
সফি ব্যাপারী বলেন ,তিনি মরিচ করেছিলেন ৪ বিঘা জমিতে । মরিচও ভালো হয়। রোদে শুকিয়ে প্রতি মন মরিচ বিক্রি করেন সাড়ে ৫ থেকে ৬ হাজার টাকা মন হিসাবে । এতে তার লাভ আসে অন্তত ১ লাখ ৮০ হাজার টাকা ।
তিনি বলেন ,আমরা তো মরিচ বলিনা- মরিচকে বলি লাল সোনা । তিনি ঘরে আরও ২০ মন মরিচ শুকিয়ে রেখেছেন । বিক্রি করবেন আরও দাম বাড়লে । অন্যান্য ফসলের পাশে এখন বড় ভুমিকা রাখছে মরিচ চাষীরা।
কৃষি বিভাগ জানায়, ১ হাজার ৯ শ ৬৭ হেক্টর জমিতে মরিচের চাষ হয়েছে। মাঘ ফাল্গুন চৈত্র মাসে মরিচের চাষ ও মরিচ উত্তোলন হয়ে থাকে। মরিচ চাষে খরচ কম ,দাম ভালো পাওয়া যায়। তাই চাষীরা মরিচ চড়া রোদে শুকিয়ে কেউ মজুদ করে ঘরে রাখে। কেউ হাটে বাজারে বিক্রি করে ,আবার কেউ জমি থেকে মরিচ তোলায় ব্যস্ত থাকে।
মরিচ চাষী নুরুন্নবী সরকার জানানয় ,লাল সোনার এই মৌসুমে বিভিন্ন কোম্পানীর লোকজন এসে আগাম মরিচ কিনে নিয়ে যায়। তিনি জানায় দুই বিঘা জমিতে মরিচ চাষ করতে ৩০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে আর বিক্রি হয়েছে প্রায় দেড় লাখ টাকা। লাভের অর্ধেক খরচ হয় বলে লাভ ভালো হয়।
কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তরের উপ পরিচালক মো: বেলাল হোসেন.চরাঞ্চলে মরিচ ভালো হয়ে থাকেন। উৎপাদন ভালো হয়। খরচ ও কম হয় কিন্তু লাভের পরিমান অনেক বেশি হয়ে থাকে।
ফেজবুকে আমাদের সাথে যুক্ত হতে ক্লিক করুন ।
আরও খবর জানতে ক্লিক করুন।
বাণিজ্য প্রতিদিনের সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন
