নিষিদ্ধঘোষিত জঙ্গি সংগঠন আনসার আল ইসলামের সক্রিয় এক সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে অ্যান্টি টেররিজম ইউনিট (এটিইউ)। গ্রেপ্তার ওই সদস্যের নাম উজ্জ্বল মিয়া ওরফে উজ্জ্বল খন্দকার (২৩)।

এটিইউ এর দাবি, তামিম আল আদনানী, আলী হাসান উসামা, মাহমুদুল হাসান গুণবী এবং হারুন ইজহারদের মতো উগ্র মতাদর্শে বিশ্বাসীদের বক্তব্যে অনুপ্রাণিত হয়ে নিষিদ্ধ আনসার আল ইসলামে যুক্ত হয় উজ্জ্বল।

গোয়েন্দা তথ্য এবং সাইবার স্পেসের নজরদারির ভিত্তিতে শনিবার (২৩ এপ্রিল) রাতে অভিযান পরিচালনা করে বনানী থানাধীন মহাখালী পুলিশ বক্স এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে অ্যান্টি টেররিজম ইউনিটের একটি দল।

বাণিজ্য প্রতিদিনের সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

গ্রেপ্তারের সময় অ্যান্টি টেররিজম ইউনিট তার কাছ থেকে একটি মোবাইল, ‘মুসলিম উম্মাহর প্রতি আহ্বান’ সংক্রান্ত ৭ পাতার একটি পুস্তিকা, ১৪ পাতার ‘জিহাদের জন্য ট্রেনিং বা প্রস্তুতি’ (পর্ব ১-১৩) শীর্ষক পুস্তিকা, জব্দ করা মোবাইলে লগইন অবস্থায় তার টাইম লাইনে উগ্রবাদী কর্মকাণ্ডে উদ্ধুদ্ধ করার বিভিন্ন পোস্ট, ভিডিও শেয়ারের স্ক্রিনশট, মোবাইল ফোনের সংযুক্ত মেমোরি কার্ডে সংরক্ষিত বেশ কিছু উগ্রবাদী ভিডিও এবং পিডিএফ ফাইল জব্দ করা হয়।

অ্যান্টি টেররিজম ইউনিটের পুলিশ সুপার (মিডিয়া অ্যান্ড অ্যাওয়ারনেস উইং) মোহাম্মদ আসলাম খান জানান, হবিগঞ্জ জেলার বানিয়াচং উত্তর সাঙ্গরের সুনাহর খন্দকারের ছেলে উজ্জ্বল। বনানী থানাধীন মহাখালী পুলিশ বক্স সংলগ্ন বায়তুল মাহফুজ জামে মসজিদ এলাকায় থাকতেন তিনি। তিনি হবিগঞ্জে আলিয়া মাদ্রাসায় অনার্স ২য় বর্ষের ছাত্র।

পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আসলাম খান বলেন, গ্রেপ্তার উজ্জ্বল অনলাইনে উগ্রবাদী প্রচারণাসহ রাষ্ট্রবিরোধী ষড়যন্ত্র ও আসন্ন তথাকথিত গাজওয়াতুল হিন্দের মাধ্যমে বাংলাদেশে তথাকথিত খিলাফত প্রতিষ্ঠা করার উদ্দেশ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছিলেন। তামিম আল আদনানী, আলী হাসান উসামা, মাহমুদুল হাসান গুণবী এবং হারুন ইজহারদের বক্তব্যে অনুপ্রাণিত হয়ে আনসার আল ইসলামে যুক্ত হন উজ্জ্বল। এরপর তিনি বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এবং এনক্রিপ্টেড চ্যাট গ্রুপে সংগঠনের সমর্থনে ভার্চুয়াল মাধ্যমে গোপনে প্রচারণা এবং সদস্য বৃদ্ধির জন্য দাওয়াতি কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছিলেন।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে রাষ্ট্র ও সরকার বিরোধী এবং ধর্মীয় উস্কানিমূলক ও উগ্রবাদী বিভিন্ন পোস্ট দিয়ে, উগ্রবাদী বিভিন্ন বই ও কনটেন্ট সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট দিয়ে আগ্রহীদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রক্ষাসহ তাদের উগ্রবাদের দিকে আহ্বান জানিয়ে আসছিলেন তিনি।

রোববার (২৪ এপ্রিল) ডিএমপির বনানী থানায় দায়ের করা সন্ত্রাসবিরোধী আইনে গ্রেপ্তার দেখিয়ে তাকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।