চাঁদপুরের হাজীগঞ্জে ভয়াবহ অগ্নিকান্ডে প্রায় ২ কোটি টাকার সম্পদহাণী। রোববার (১৭ জানুয়ারি) ভোরে এই ঘটনা ঘটে।
অগ্নিকান্ডে ক্ষতিগ্রস্থ দোকান হলো তালুকদার ফার্ণিচার ও ফারিহা ফার্ণিচার। ২টি দোকানই উন্নতমানের কাঠের তৈরী খাট, পালন, আলমিরা, সোফাসেটের শো-রুম এবং সোফাসেটের কাপড়, পর্দা, ওয়ালমেট বিক্রয় করে থাকে। এ ২টি দোকান ছাড়াও পাশের হারেছ প্লাজারও ব্যাপক ক্ষয় ক্ষতি হয়েছে। খবর পেয়ে হাজীগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস ঘটনাস্থলে আসলেও প্রায় ৪০ মিনিট পর আগুন নেভানোর কাজে নামে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ফায়ার সার্ভিসের একটি দল ঘটনাস্থলে আসলেও রিজার্ভ পানির মেশিন নষ্ট থাকায় তারা আগুন নেভাতে অন্য একটি পানির মেশিন নদীতে লাগিয়ে সেই পানি দিয়ে আগুন নেভাতে চেষ্টা করে। ততক্ষণে ২টি দোকানের মালামলা পুড়ে সম্পূর্ণ ভষ্মীভূত হয়।
পাশ্ববর্তী দোকানের মালিক সাজ্জাদ হোসেন জানান, আগুন লাগার দৃশ্য দেখে সাথে সাথে ফায়ার সার্ভিসকে ফোন দেই। ফায়ার সার্ভিস সাথে সাথে ঘটনাস্থলে আসলেও রিজার্ভ পানির মেশিন নষ্ট অজুহাতে প্রায় ৪০ মিনিট পরে পানি সরবরাহ করতে পারে।
তালুকদার কাঠগোলার মালিক আব্দুল মান্নান তালুকদার জানান, ফোনে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে দেখি আমার সবকিছু শেষ। আমার দোকানে প্রায় এক কোটি টাকার মালামাল ছিল। সব পুড়ে গেছে। আমার প্রায দেড় কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে।
এ ছাড়াও ফারিহা ফার্নিচারে ৫০ লক্ষ ও হারেছ প্লাজার নিচ তলা ও দোতলার ক্ষয় ক্ষতি সহ প্রায় ২ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে।
হাজীগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. জাকির হোসেন জানান, বিদ্যুতের শর্টসার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ এখনো নিরুপন করা হয়নি।
খবর পেয়ে হাজীগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান গাজী মো. মাইনুদ্দীন, পৌরসভার মেয়র আ. স. ম. মাহবুব উল আলম লিপন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। এসময় আগুন নিভাতে কালক্ষেপণে ফায়ার সার্ভিসের গাফিলতি রয়েছে বলে অভিযোগ করেন ভুক্তভোগীরা।
এ ছাড়াও সাবেক মেয়র আলহাজ আব্দুল মান্নান খান, পৌর আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আহম্মেদ খসরু অগ্নিকান্ডে ক্ষতিগ্রস্থ দোকানগুলো পরিদর্শন করেন এবং ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের সাথে কথা বলে সান্তনা প্রদান করেন।