টাঙ্গাইলে দুই শ্যালককে সৌদি পাঠিয়ে স্ত্রীদের সাথে অনৈতিক সম্পর্কের জেরে দুলাভাই বজলুর রহমানের গোপণাঙ্গ কাটার অভিযোগ উঠেছে দুই শ্যালকের স্ত্রীদের বিরুদ্ধে।

গত (৬ জুন) রাতে টাঙ্গাইল সদর উপজেলার পোড়াবাড়ী ইউনিয়নের বড় বেলতা গ্রামে এ ঘটনাটি ঘটে। বজলুর রহমান ওই গ্রামের মৃত হায়দার আলীর ছেলে। তিনি ইউনিয়ন বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক ও এনজিও কর্মকর্তা। এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ৮নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য ও বজলুর রহমানের চাচাতো ভাই মতিয়ার রহমান পলু।

এছাড়াও হাসপাতালের ভর্তি তথ্যে জানা গেছে, গত সোমবার (৬ জুন) গভীর রাতে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে গোপণাঙ্গ কাটা অবস্থায় বজলুর রহমান নামের এক ব্যক্তি ৩য় তলার ৬নং ওয়ার্ডে ভর্তি হন। তবে তার শারীরিক অবস্থা সংকটাপন্ন থাকায় রাতেই আবার ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।

বাণিজ্য প্রতিদিনের সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

ইউপি সদস্য ও বজলুর রহমানের চাচাতো ভাই মতিয়ার রহমান পলু জানান, দীর্ঘদিন ধরে বজলুর তার শ্বশুড়বাড়ীতে আর্থিক সহায়তা করতো।

ইতোপূর্বে তিনি তার দুই শ্যালককে সৌদি পাঠান। এ সময় তার এনজিও থেকে লোনও দেয়া হয়েছিল। ওই লোনের কিস্তির টাকা আনতে নিয়মিত যাতায়াত ছিল শ্বশুর বাড়ীতে। এ কারণে শ্যালকের স্ত্রীদের সাথে বজলুর রহমানের গড়ে ওঠে অনৈতিক সম্পর্ক। এছাড়াও অন্য কোন নারী সাথে বজলুরের সম্পর্ক আছে জানতে পারেন ওই নারীরা। এ নিয়ে বজলুরের সাথে তাদের কথা কাটাকাটি হয়েছিল।

এ কারণে গভীর রাতে কৌশলে তাকে পরিকল্পিত ভাবে ডেকে নেন ওই দুই নারী। এরপর দুজনে একসাথে বজলুরকে জরিয়ে ধরে পোষাক খুলে বুঝে উঠার
আগেই ব্রেড দিয়ে গোপণাঙ্গ কেটে দেন।

তিনি আরও জানান, ঘটনাটি আত্মীয়দের মধ্যে হওয়ায় কোন পক্ষ মামলা করেননি, দুই পক্ষ থেকে আপোষ-মিমাংসা করার আলোচনা চলছে। এছাড়াও বজলুর এখন কোথায় আর কি অবস্থায় আছেন সেটি তিনি জানতে পারেননি।

অভিযুক্ত দুই প্রবাসীর স্ত্রী জানান, তার নোনাশের স্বামী নিয়মিত তাদের নির্যাতন করতো। গত সোমবার গভীর রাতে তাদের বাড়িতে গিয়ে দুজনের সাথে একত্রিত মেলামেশা করার চেষ্টা করেন। এতে তারা ক্ষিপ্ত হয়ে হাতের কাছে থাকা ব্রেড দিয়ে বজলুর রহমানের গোপণাঙ্গটি কেটে দেয়।

পোড়াবাড়ী ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আমিনুল ইসলাম বলেন, বজলুর রহমান আমার ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক। তার গোপণাঙ্গ কাটার বিষয়টি লোক মুখে জানতে পেরেছি। তবে তার পরিবারের পক্ষ থেকে কিছু জানানো হয়নি।

এ বিষয়ে সাংগঠনিক কোন ব্যবস্থা নেয়া হবে কিনা এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, উর্ধ্বতন নেতৃবৃন্দকে বিষয়টি জানানো হবে।

কাগমারি পুলিশ ফাঁড়ির উপ-পরিদর্শক (এস.আই) মাজেদ জানান, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হলেও কোন পরিবারই অভিযোগ দেননি। তারা পারিবারিক ভাবে বিষয়টির মিমাংসা করেছে বলে উভয়ের অভিভাবক জানিয়েছেন।

এ বিষয়ে পোড়াবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান শাহাদত হোসেন জানান, এ ঘটনায় উভয় পরিবার মিমাংসার কথা বলেছিল। তবে পরে তারা আর আসেননি।