প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ভারত সফরের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ঢাকায় ভারতের হাইকমিশনার বিক্রম দোরাইস্বামী গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় প্রধানমন্ত্রীর জাতীয় সংসদ ভবন কার্যালয়ে গিয়ে সরকার প্রধানের কাছে এই আমন্ত্রণপত্র হস্তান্তর করেন। খবর বাসস ও বিডিনিউজের।

বৈঠকের পর প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের বলেন, আগামী সেপ্টেম্বরে শেখ হাসিনার সফর নিয়ে দুই দেশের কর্মকর্তারা কূটনৈতিক চ্যানেলে কাজ করছেন। দোরাইস্বামীর সঙ্গে বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পারস্পরিক স্বার্থে ভারতের সঙ্গে যৌথভাবে অভিন্ন নদীগুলোতে ড্রেজিং পরিচালনার প্রস্তাব করেন। তিনি বলেন, নিয়মিত নদী খননের মাধ্যমে পানি সংরক্ষণাগার নিশ্চিত করা যেতে পারে।
ভারতের আসাম, অরুণাচল ও মেঘালয় রাজ্যে সাম্প্রতিক বন্যার কারণে সৃষ্ট বিপর্যয় নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশের পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী ভারতীয় দূতকে বলেন, পূর্ব ভারতের পাহাড়জুড়ে ভারি বর্ষণে বাংলাদেশের উত্তর-পূর্ব অংশের বেশিরভাগ এলাকা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তিনি বলেন, বাংলাদেশ সরকার এ ধরনের যে কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলায় ভারতের সঙ্গে একসঙ্গে কাজ করতে প্রস্তুত রয়েছে।

জবাবে ভারতের হাইকমিশনার বলেন, তাঁর দেশও বাংলাদেশের বন্যার্তদের সহায়তা করতে প্রস্তুত রয়েছে। দোরাইস্বামী আওয়ামী লীগের ৭৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানান। এ ছাড়া তিনি পদ্মা সেতুর নির্মাণকাজ সফলভাবে সম্পন্ন করায় প্রধানমন্ত্রীকে অভিনন্দন জানান। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, নবনির্মিত সেতু উভয় দেশকে সরাসরি সংযুক্ত করবে এবং এ অঞ্চলে যোগাযোগ বাড়াবে। ভারতের হাইকমিশনার জানান, চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর ব্যবহার করে ভারতে পণ্য পরিবহনের জন্য এরই মধ্যে একটি ‘ট্রায়াল রান’ করা হয়েছে এবং চারটি ভিন্ন সড়কেও এ ধরনের ‘ট্রায়াল রান’ অনুষ্ঠিত হবে। বিদ্যুতের বিষয়ে ভারতের রাষ্ট্রদূত বলেন, নেপাল থেকে বাংলাদেশে বিদ্যুৎ পৌঁছানোর জন্য ভারত একটি কোম্পানি গঠন করবে এবং ট্রান্সমিশন লাইন নির্মাণে বিনিয়োগ করবে।

বাণিজ্য প্রতিদিনের সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

বিপি/ আইএইচ