ভারত-চীন সীমান্তে উত্তেজনা কমাতে দ্রুত মুখোমুখি অবস্থান থেকে সেনা সরিয়ে আনার বিষয়ে একমত হয়েছে দুই দেশ। দুই পক্ষের মধ্য নবম দফার সামরিক স্তরের বৈঠকের পর এ সংক্রান্ত এক যৌথ বিবৃতি প্রকাশ করা হয়েছে।

ভারতের আনন্দ বাজার পত্রিকার এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, উত্তেজনা কমানোর লক্ষ্যে ধারাবাহিক আলোচনার পাশাপাশি ভারত-চীন মুখোমুখি অবস্থানকারী বাহিনীকে সংযত রাখার বিষয়ে একমত হয়েছে। দশম দফার বৈঠকে সেনা সংখ্যা কমানোর বিষয়টি আলোচনা হবে।

রবিবার (২৪ জানুয়ারি) দক্ষিণ-পূর্ব লাদাখে চুশুল লাগোয়া মলডো পয়েন্টে আয়োজিত ওই বৈঠকে ভারতীয় প্রতিনিধিদলের নেতৃত্বে ছিলেন লেহ্র ১৪ নম্বর কোরের কমান্ডার লেফটেন্যান্ট জেনারেল পি জি কে মেনন। অন্যদিকে চীনা সৈন্যদের পক্ষে আলোচনায় অংশ নেন শিনজিয়াং মিলিটারি রিজিয়ন কমান্ডার মেজর জেনারেল লিউ লিন।

বাণিজ্য প্রতিদিনের সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

জানা যায়, গত ৬ নভেম্বর অষ্টম দফার বৈঠকে এ সংক্রান্ত তিনটি পদক্ষেপের বিষয়ে আলোচনা হলেও দুই দেশ কোনো সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে পারেনি। ওই বৈঠকে ভারতের পক্ষ থেকে দাবি তোলা হয়, প্যাংগং হ্রদের উত্তর তীরের ফিঙ্গার-৫ থেকে চীনা সেনারা যেন ফিঙ্গার-৮ পর্যন্ত পিছিয়ে যায়। ২০২০ সালের এপ্রিল পর্যন্ত ফিঙ্গার-৮ পর্যন্ত টহল দিত ভারতীয় সেনা। কিন্তু এর পরে চীনের পিপলস লিবারেশন আর্মি (পিএলএ) এলএসি লঙ্ঘন করে ফিঙ্গার-৪ পর্যন্ত এগিয়ে আসে বলে অভিযোগ।

অন্যদিকে, চীনের পক্ষ থেকে ওই বৈঠকে প্যাংগং হ্রদের দক্ষিণে এলএসি বরাবর রেচেলা থেকে রেজিংলা পর্যন্ত উঁচু জায়গাগুলোতে অবস্থান নেওয়া ভারতীয় সেনাকে পেছনোর দাবি তোলা হয়েছিল। কিন্তু তখন কোনো পক্ষই অবস্থান বদলাতে রাজি হয়নি।

ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংহ গত শনিবার বলেছিলেন, এলএসিতে মোতায়েন চীনা সেনার সংখ্যা কমানো না হলে ভারতও একতরফাভাবে সেনা কমাবে না।

এসব আলোচনার মধ্যেই ফের ভারত ও চীনের সেনাদের মধ্যে সীমান্তে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। সংঘর্ষে চীনের অন্তত ২০ জন সেনা আহত হয়েছেন। অন্যদিকে ভারতের আহত হয়েছেন ৪ সেনা। গত ২০ জানুয়ারি সিকিমের নাকুলা এলাকায় এই সংঘর্ষ বাধে। ভারতীয় সেনা বাহিনী এই ঘটনাকে ‘সামান্য’ বলে উল্লখ করেছে এবং এর ‘সমাধান’ হয়েছে বলে জানিয়েছে।