দেশের শিল্প কারখানায় দক্ষ জনশক্তির যথেষ্ট অভাব রয়েছে। ফলে মেশিনারিজ ও অন্যান্য কার্যক্রম পরিচালনা বিদেশ থেকে লোকবল আনতে হয়। তাতে প্রদান করতে হয় উচ্চ বেতনের সম্মানি। পরিচালন ব্যয়ে এত টাকা খরচ না হলে আরও বেশি মুনাফা অর্জন করা যেতো। তাই দেশে দক্ষ লোকবল তৈরিতে শিল্প প্রতিষ্ঠান ও একাডেমিয়াগুলোকে একসঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (ডিসিসিআই) প্রেসিডেন্ট সামীর সাত্তার।

তিনি বলেন, দেশের মধ্যেই দক্ষ জনশক্তি তৈরি করতে হবে। কারণ শিল্প খাতে বিদেশিরা কাজ করে প্রতি বছর বাংলাদেশ থেকে ৮ থেকে ১০ বিলিয়ন ডলার নিয়ে যাচ্ছে। তাই আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ইন্ডাস্ট্রিয়াল শিক্ষা দিতে হবে। দেশের শিল্প প্রতিষ্ঠান ও একাডেমিয়াগুলোকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে।

শনিবার (৮ জুলাই) ডিসিসিআই আয়োজিত শিল্প-শিক্ষা খাতের সমন্বয় : পরিবর্তশীল বৈশ্বিক পরিস্থিতিতে শিক্ষার্থীদের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি শীর্ষক সেমিনারে তিনি এসব কথা বলেন।

বাণিজ্য প্রতিদিনের সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দিপু মনি। স্বাগত বক্তব্য দেন ঢাকা ডিসিসিআই প্রেসিডেন্ট সামির সাত্তার। এছাড়া বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন জাতীয় দক্ষতা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (এনএসডিএ) এক্সিকিউটিভ চেয়ারম্যান নাসরিন আফরোজ।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ঔপনিবেশিক স্বার্থে আমাদের ক্রিয়েটিভিটি নষ্ট করে দিয়েছি। অনেকদিন ধরে গণতন্ত্রের পথে চলছি। সবকিছু ঠিক করার সময় এসেছে। একাডেমিয়ার জন্য সক্ষমতা দেখানোর বিষয় রয়েছে। সব কাজের জন্য সরকারের কাছে যেতে হবে এমন কোন কথা নেই। নিজেদের উদ্যোগেও অনেক কাজ করা সম্ভব।

এতে প্যানেল আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইনস্টিটিউট অব বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের (আইবিএ) পরিচালক প্রফেসর মোহাম্মদ আবদুল মোমেন, অ্যাপেক্স ফুটওয়্যার লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ নাসিম মঞ্জুর, আইএলও বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর টুমো পোটিআইনেন, জাতীয় দক্ষতা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (এনএসডিএ) গভর্নিং বোর্ডের সদস্য শফকাত হায়দার, বুয়েটের ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড.সত্য প্রসাদ মজুমদার এবং ইউজিসির সদস্য প্রফেসর ড. মো. সাজ্জাদ হোসেন।

এনএসডিএ চেয়ারম্যান নাসরিন আফরোজ বলেন, শিল্প-একাডেমী লিঙ্কেজ অনেক গুরুত্বপূর্ণ। বাংলাদেশের শ্রম বাজারে বেশ কিছু চ্যালেঞ্জ রয়েছে। এর মধ্যে সরবরাহ ও চাহিদা অনুসারে একাডেমিয়া ও শিল্পের মধ্যে শক্তিশালী সংযোগের অনুপস্থিতি রয়েছে। এরফলে জ্ঞান অর্জন বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। এছাড়া উৎপাদন প্রক্রিয়ার দক্ষতা ও জিডিপিকে প্রভাবিত করতে পারে। এতে দক্ষতার অপচয় ও বেকারত্ব তৈরি করে।