Top
সর্বশেষ

নামেই ৫০ শয্যা বিশিষ্ট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স

১৩ জুলাই, ২০২১ ৪:১৩ অপরাহ্ণ
নামেই ৫০ শয্যা বিশিষ্ট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স
টাঙ্গাইল প্রতিনিধি :

টাঙ্গাইলের নাগরপুরে নেই এক্স-রে ও আল্ট্রা মেশিনসহ নেই টেকনিশিয়ান। এরপরও কাগজে কলমে আর নামেই ৫০ শয্যা বিশিষ্ট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন না থাকায় দেয়া হয়না এখানে ৫০ শয্যার জনবল পোষ্টিং। এর ফলে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে স্বাস্থ্য কেন্দ্রের চিকিৎসা সেবা। এতে কাঙ্খিত স্বাস্থ্য সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন উপজেলবাসী। পুরোনো আমলের (এনালগ) একটি এক্স-রে মেশিন থাকলেও সেটি দীর্ঘ ৮ মাস ধরে অকেজো হয়ে পড়ে রয়েছে। এক্স-রে মেশিন না থাকায় এখানকার টেকনিশিয়ান গোপালপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ডেপুটেশনে কাজ করছে বলেও সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, নাগরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি ৩০ শয্যা থেকে ৫০ শয্যায় উন্নীত করেন সাবেক স্বাস্থ্য মন্ত্রী প্রয়াত মোহাম্মদ নাসিম। এরপরে ৫০ শয্যার প্রয়োজনীয় অবোকাঠামো নির্মানের পর ২০১৪ সালের ২৪ জুলাই ৫০ শয্যা বিশিষ্ট নাগরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন সাবেক সাংসদ প্রয়াত খন্দকার আব্দুল বাতেন। উদ্বোধন হলেও এ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পোষ্টিং দেয়া হয়নি কোন বিশেষজ্ঞ ডাক্তার। নেই গাইনী সার্জন। বহু বছর ধরে এখানে অ্যানেসথেসিয়া (অজ্ঞানকারক) ডাক্তার নেই। নেই আল্ট্রা মেশিন। ৫০ শয্যার হাসপাতালে ৩০ শয্যার জনবল দিয়ে খুড়িয়ে খুড়িয়ে চলছে চিকিৎসা কার্যক্রম। এতে চরম দূর্ভোগ আর সীমাহীন ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে সাধারণ রোগীদের। এছাড়া পরিচ্ছন্ন কর্মীর স্বল্পতা থাকায় হাসপাতালের স্বাভাবিক পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে বলে অভিযোগ রয়েছে।

হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, ডিজিটাল এক্স-রে মেশিনের চাহিদা দেয়া আছে। উপজেলা হেল্থ কেয়ার (ইউএইচসি) থেকে এই মূহুর্তে ডিজিটাল এক্স-রে মেশিন দেয়া যাচ্ছে না বলে জানান। তবে একটি এনালগ মেশিন দ্রুত পাওয়া যাবে।

ডিজিটাল যুগে এনালগ মেশিনে পরীক্ষা সঠিক রোগ নির্ণয় রির্পোট পাওয়া যাবে কিনা এমন প্রশ্নে নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক টেকনিশিয়ান বলেন, নাই মামার চেয়ে কানা মামা ভাল।

এ ব্যাপারে নাগরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য পরিবার ও পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. রোকনুজ্জামান জানান, একটি নতুন এনালগ এক্স-রে মেশিন সহসা পাওয়ার সম্ভাবনা আছে। তবে ৫০ শয্যা বিশিষ্ট স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের অনুকুলে বিশেষজ্ঞ ডাক্তারসহ প্রয়োজনীয় জনবল না থাকায় উপজেলাবাসীর প্রত্যাশিত চিকিৎসা সেবা ব্যাহত হচ্ছে বলে স্বীকার করেন তিনি।

শেয়ার