গাজীপুরে শ্রীপুর উপজেলার প্রাণকেন্দ্র মাওনা চৌরাস্তায় বিশ্বের প্রযুক্তির সাথে তাল মিলিয়ে আধুনিকায়ন হচ্ছে ডা: মুহাম্মদ আবুল হোসাইনেরপ্রতিষ্ঠিত আল-হেরা হাসপাতাল। এখন থেকে আরনয় ঢাকা উত্তরা কিংবা ময়মনসিংহ আমাদের শ্রীপুরে এই প্রথম মানুষের সেবা দ্রুত সময়ের মধ্যে পৌঁছে দিতে ইতি মধ্যে আল-হেরা হাসপাতালে বিশ্বমানের জাপানি ফুজি ফ্লিম ব্র্যান্ডের ৩২ স্লাইসের সিটিস্ক্যান মেশিন স্থাপন করা হয়েছে।

সর্বসাধারণের সুলভ মূল্যে স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করার লক্ষে আল-হেরা হাসপাতাল নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। মানুষ সহজে অল্প খরচে সিটিস্ক্যান সেবা পাবে। এই অঞ্চলের মানুষের সহযোগিতা বছরের পর বছর ধরে আল-হেরার চিকিৎসা সেবা কে উন্নত পর্যায়ে পৌঁছাতে ক্রমান্বয়ে সস্প্রসারণ চালিয়ে যাচ্ছেন।এরই ধারাবাহিকতায় সঠিক ডায়গনসিস ও সুচিকিৎসা নিশ্চিত করতে বিশ্বমানেরমেডিকেলটেকনোলজির সরঞ্জাম প্রতিনিয়ত সংযোজন করা হচ্ছে। আল-হেরা হাসপাতালে রেডিওলজি ও ইমেজিং (সিটি স্ক্যান) বিভাগে রেডিওলজিস্ট হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছেন মেজর ডাঃ মোঃ তানশেদ আরাফাত।ডাঃ মুহাম্মদ আবুল হোসাইন বলেন, একটি মফস্বল ক্লিনিক থেকে জাতীয় মানের হাসপাতালে উন্নীত করার প্রচেষ্টায় কাজ করে যাচ্ছি। সে কারণে অবকাঠামোগত উন্নতির সাথে সাথে মান সম্মত সেবা ও অভ্যান্তরিন চিকিৎসা প্রযুক্তির উন্নয়ন করে চলছি।

গত এক বছরের মধ্যে যুক্ত করেছি সিটিস্ক্যান,ও পি জি এবং ডিআর এ·-রে মেশিন। প্রতিষ্ঠা করেছি ডায়ালাইসিস এনআইসিইউ ফিজিওথেরাপী ও দন্ত বিভাগ স্থাপন করা হয়েছে সেন্ট্রাল অক্সিজেন সিস্টেম, যা যে কোন মাত্রার অক্সিজেন সরবরাহ করা সম্ভব। এ ছাড়া বৃহৎ আকারে নির্মাণ করা হয়েছে অত্যাধুনিক ফার্মেসী। সহজেই পাওয়া যাবে সব ধরনের ঔষুধ এবং সার্জিক্যাল প্রোডাক্ট। ইমার্জেন্সি বিভাগকে ঢেলে সাজানো হয়েছে। নিরাপত্তা ব্যবস্থা ও পার্কিং ব্যবস্থার উন্নয়ন ঘটানো হয়েছে। তাছাড়া মানসম্মত ক্যান্টিন প্রস্তুত করা হয়েছে । সর্বোপরি হাসপাতালের ২৬ টি বিভাগকেই ঢেলে সাজিয়ে মানসম্মত করা হয়েছে। অধিকাংশ বিশেষজ্ঞ ডাক্তারদের চেম্বার নিশ্চিত করা হয়েছে। সব ধরনের টেস্ট ও চিকিৎসা খরচ মানুষের সিমিত আয়ের মধ্যে নির্ধারণ করা হয়েছে।

বাণিজ্য প্রতিদিনের সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

এখনো|আমার অনেক অপূর্ণতা অসংগতি রয়েছে যা দ্রুত কাটিয়ে ওঠার পদক্ষেপ গ্রহণ করা হচ্ছে । তিনি আরো বলেন,যারা আল- হেরা হাসপাতালের সেবা ও নানা বিষয়ে অসন্তুষ্ট ছিলেন তারা এখন সন্তুষ্টি হয়ে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিচ্ছেন। এটাই আমার জীবনের বড় প্রাপ্তি। এইপ্রতিষ্ঠানটিকে বিশ্বমানের হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা গড়ার প্রত্যয়ে কাজ করে যাচ্ছি।