যশোরে নিজের গলায় দা চালিয়ে হাইপার মোল্লা (৫০) নামে এক ব্যক্তি আত্মহত্যা করেছে বলে জানাগেছে। শনিবার সকাল সোয়া ৮টার দিকে যশোর সদর উপজেলার ৪নং নওয়াপাড়া ইউনিয়নের নওদাগ্রামে এ দুর্ঘটনা ঘটে।নিহত হাইপার মোল্লা যশোর সদর উপজেলার নওদাগ্রামের মৃত হানেফ মোল্লার ছেলে।

সে মোমিননগর নওদাগ্রাম মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে দপ্তরীর চাকুরি করেন। স্থানীয় সূত্রে জানা যায় আজ সকালে হাইপার মোল্লা একই গ্রামের আব্দুল হান্নানের চায়ের দোকানে আসে। সেখান থেকে চা পান শেষে চায়ের দোকানের পিছনে ইজিবাইক চার্জারের বৈদ্যুতিক লাইনের সাথে শক নিতে গেলে দোকানদার তাকে প্রতিহত করে দোকান থেকে ফিরিয়ে দেয়। পরে হাইপার মোল্লা চায়ের দোকান হতে বেরিয়ে তার ভাই হায়দার আলীর বাড়ির দিকে চলে যায়। তারপর সকাল সোয়া ৮ টার দিকে হাইপার মোল্লা একই গ্রামের আব্দুস সাত্তারের বসতবাড়ির পিছন হতে রক্তাক্ত অবস্থায় হাতে দা নিয়ে তার ভাই হায়দার আলীর বাড়ির উঠানে এসে পড়ে যায়। তখন তার বোন রেখা এসে তার ভাইকে রক্তাক্ত অবস্থায় দেখতে পেয়ে ডাক চিৎকার শুরু করে। ডাক চিৎকার শুনে তার ভাতিজা (হায়দার এর ছেলে) এসে গলায় রক্তাক্ত কাটা যখম দেখে দুজনে মিলে তাকে নিয়ে হাসপাতালে যাওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।

তাছাড়া ঘটনাস্থল থেকে একটি দা উদ্ধার করা হয়। প্রাথমিকভাবে জানা যায়, নিহত হাইপার মোল্লা বাড়িতে বিল্ডিং ঘর নির্মাণের কারণে ঋণগ্রস্ত হয়ে পড়েছেন। এসব বিষয় নিয়ে প্রায় সময়ই তার স্ত্রীর সাথে ঝগড়া বিবাদ হত। ঋণের কারণে হতাশাগ্রস্থ হয়ে তিনি নিজেই আত্মহত্যা করেছে বলে দাবি করছেন তার স্ত্রী ।তবে অনেকেই বলছেন জমি জমার কারণে নিহতের স্ত্রী ও ছেলে তাকে হত্যা করতে পারে। নিহতের গলার বাম পাশে বড় কাটা দাগ ছিল। বিষয়টি নিয়ে এলাকায় চাঞ্চলের সৃষ্টি হয়েছে। মৃত্যু সম্পর্কে এখনো পর্যন্ত কোন প্রত্যক্ষদর্শীর সন্ধান পাওয়া যায়নি।

বাণিজ্য প্রতিদিনের সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

যশোর কোতয়ালী থানার ওসি তাজুল ইসলাম বলেন, এটি হত্যা না আত্মহত্যা তা এখনো কিছুই বলা যাচ্ছে না। পুলিশ বিষয়টি নিয়ে তদন্ত করছে। নিহতের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য যশোর জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।বিষয়টি নিয়ে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন আছে বলেও যোগ করেন তিনি।