Top
সর্বশেষ

মানিকগঞ্জে জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উদযাপন

২২ ফেব্রুয়ারি, ২০২১ ১১:২৫ পূর্বাহ্ণ
মানিকগঞ্জে জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উদযাপন
মানিকগঞ্জ প্রতিনিধি :

মানিকগঞ্জে মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে ভাষা সৈনিকদের সংবর্ধনা, আলোচনা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান এবং প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে কর্মহীন সংস্কৃতিসেবীদের উপহার বিতরণ করা হয়েছে।

রোববার (২১ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় জেলা শহীদ মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতি ফলকের পাদদেশে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। জেলার  বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠনের অংশ গ্রহণে শহীদ মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতিফলক চত্তর ছিল অনেকটাই মুখরিত। সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব শ্রী বাসুদেব সাহার সঞ্চালনায় আলোচনা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে সভাপতি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক এস এম ফেরদৌস।

এছাড়াও পুলিশ সুপার রিফাত রহমান শামীম, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এড. গোলাম মহিউদ্দিন, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক  মুক্তিযোদ্ধা এড. আব্দুস সালাম, মানিকগঞ্জ পৌর মেয়র মোঃ রমজান আলী, মানিকগঞ্জ ডায়াবেটিক সমিতির সাধারন সম্পাদক সুলতানুল আজম খান আপেল, জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ মমিন উদ্দিন খান, জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক সুদেব কুমার সাহাসহ আরও অনেকেই আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত দর্শকদের উদ্দেশ্যে জেলা প্রশাসক এস, এম, ফেরদৌস বলেন, বাংলাকে সর্বত্র ব্যবহারে আমাদেরকে সচেষ্ট থাকতে হবে। আমরা এক চল্লিশ সালের মধ্যে ইনশাল্লাহ একটি উন্নত রাষ্ট্রে পদার্পণ করাবো। বাংলা ভাষা শুধু আমাদের নয়, এ ভাষা এখন আন্তর্জাতিক ভাষা।

এদিকে পুলিশ সুপার রিফাত রহমান শামীম বলেন, একুশের যে শোক ও সংগ্রামের প্রস্তাব কিন্তু ভাষা সৈনিক শহীদ রফিকেরই প্রস্তাব ছিল। আমি মনে করি আপনারা যারা মানিকগঞ্জ বাসী তারা সত্যিই অত্যন্ত ভাগ্যবান কেননা শহীদ রফিক মানিকগঞ্জের ছেলে। কেবল সারাদেশে নয় বরং বিশ্বের মাঝে মানিকগঞ্জের নাম উচ্চারিত হয়।

জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা এ্যডভোকেট গোলাম মহিউদ্দিন বলেন, কৃতি সন্তানদের জন্য সাধারণত মায়েদেরকে রত্নগর্ভা বলা হয়ে থাকে। তাই আমি মনে করি বায়ান্ন’র ভাষা আন্দোলনে আত্মত্যাগকারি শহীদদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত একুশে ফেব্রুয়ারিকে রত্নগর্ভা দিবস বলা যেতে পারে।

পৌর মেয়র মোঃ রমজান আলী আলোচনা সভার বক্তব্যে বলেন, বায়ান্ন এর ভাষা আন্দোলনে আত্মত্যাগকারি ভাষা সৈনিক শহীদ রফিক আমাদের গর্ব। কিন্তু অত্যন্ত দুঃখের বিষয় হল দেশের ভাষা ও স্বাধীনতা অর্জনে যারা শহীদ হয়েছেন তাদের অনেকের নামেই রাজধানী ঢাকায় অনেক স্থাপনা থাকলেও আমাদের শহীদ রফিকের নামে কোনো স্থাপনা নাই। আমি আশা করবো রাজধানী ঢাকাতেও শহীদ রফিকের নামে একটি উল্লেখযোগ্য স্থাপনা হবে।

অনুষ্ঠানের বক্তব্য শেষে জেলা প্রশাসক এস এম ফেরদৌস জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে আয়োজিত শিশু-কিশোরদের বিভিন্ন প্রতিযোগীতায় অংশ গ্রহণকারি বিজয়ীদের  মাঝে পুরস্কার বিতরণ ও ভাষা সৈনিকদের উত্তরসুরীদের  সম্মাননা ক্রেস্ট ও প্রাইজবন্ড প্রদান করেন। এর আগে সকালে সিংগাইরে জেলা প্রশাসনের উদ্দ্যেগে ভাষা শহীদ রফিকের নিজ বাড়ীতে ফুলেল শ্রদ্ধা ও সম্মাননা ক্রেস্ট যথাযথ মার্যাদায় প্রেরণ করা হয় বলে জেলা প্রশাসন থেকে জানানো হয়েছে।

সম্মাননা শেষে রাতে জেলার ঐতিহ্যবাহী সাংস্কৃতিক সংগঠন জেলা শিশু একাডেমী, সপ্তসুর সংগীত নিকেতন, জেলা শিল্পকলা একাডেমী, সাবিস, ড্রামা সিরিয়ালসহ বিভিন্ন সংগঠন গান, কবিতা আবৃতি ও নাচ এবং পরিশেষে নাটক পরিবেশন করেন।

শেয়ার