দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ গত ১ সপ্তাহের ব্যবধানে আবারও বেড়েছে। এখন বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাবে বিদেশি মুদ্রার সঞ্চায়ন স্থির হয়েছে ২৫ দশমিক ৩৮ বিলিয়ন ডলারে। আর আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) গণনায় তা দাঁড়িয়েছে ১৯ দশমিক ৯৭ বিলিয়ন ডলারে।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সাপ্তাহিক হালনাগাদ প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।

এতে জানানো হয়, গত ১৮ এপ্রিল বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাবায়নে সঞ্চিত বিদেশি অর্থের পরিমাণ ছিল ২৫ দশমিক ৩০ বিলিয়ন ডলার। আর আইএমএফের গণনা পদ্ধতি বিপিএম-৬ অনুযায়ী তা ছিল ১৯ দশমিক ৮৯ বিলিয়ন ডলার। সেই থেকে গত ১ সপ্তাহে গ্রস রিজার্ভ বৃদ্ধি পেয়েছে শূন্য দশমিক ০৮ বিলিয়ন ডলার।

বাণিজ্য প্রতিদিনের সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

এছাড়া দেশের আর্থিক খাত নিয়ন্ত্রণকারী সর্বোচ্চ সংস্থার নিট রিজার্ভের আরেকটি হিসাব রয়েছে। এটি শুধু আইএমএফকে দেয়া হয়, প্রকাশ করা হয় না। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, সেই মেথডে দেশের প্রকৃত রিজার্ভ এখন প্রায় সাড়ে ১৭ বিলিয়ন ডলার। এ দিয়ে ৩ মাসের আমদানি ব্যয় মেটানো যাবে।

মূলত, প্রতি মাসে পণ্য কেনা বাবদ প্রায় ৬ বিলিয়ন ডলার করে দায় পরিশোধ করা হয়। সাধারণত একটি দেশের ন্যূনতম ৩ মাসের আমদানি খরচের সমান রিজার্ভ থাকতে হয়। সেই মানদণ্ডে বাংলাদেশ বর্তমানে শেষ প্রান্তে রয়েছে।

অর্থনীতি বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আলোচ্য সময়ে রেমিট্যান্স প্রবাহ এবং রপ্তানি আয় বেড়েছে। প্রায় সপ্তাহ দুয়েক আগে পবিত্র ঈদুল ফিতর শেষ হয়েছে। সামনে রয়েছে কুরবানির ঈদ। মূলত, উৎসব ঘিরে পরিবার-পরিজনের কাছে বেশি অর্থ পাঠাচ্ছেন প্রবাসীরা। ফলে এই ঊর্ধ্বমুখিতা তৈরি হয়েছে।

তারা আরও বলেন, এখন বাণিজ্যিক ব্যাংক থেকে ডলার ধার করছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। আমদানিতে কড়াকড়ি আরোপ করা হয়েছে। এছাড়া বাইরের ছোট দায় পরিশোধ করা হয়নি। ফলে বিদেশি অর্থের মজুত বেড়েছে।

এম জি