খাগড়াছড়িতে টানা দুই দিনের বৃষ্টিতে বন্যার সৃষ্টি হয়েছে। জেলা সদরের এলাকাগুলো ভয়াবহভাবে তলিয়ে গেলেও এখনো কোন সম্ভাবনা নেই বৃষ্টি থামার। ফলে পানিবন্দি হয়ে পড়েছে হাজারো পরিবার। তলিয়ে গেছে ঘর-বাড়ি, সড়ক ও ফসল।

মঙ্গলবার (২ জুলাই) সরজমিনে দেখা যায় খাগড়াছড়ি সদর উপজেলার মেহেদিবাগ, উত্তর-দক্ষিণ গঞ্জপাড়া, মুসলিমপাড়া, শান্তিনগর, পড়িয়া, কালাডেবাপাড়া, বটতলীসহ অনেক এলাকায় পানি প্রবেশ করছে।

বটতলী এলাকা বাসিন্দা সুইচিং মারমা বলেন, খাগড়াছড়িতে চেঙ্গী নদীর পানি বিপদসীমা অতিক্রম করে সকালে লোকালয়ে প্রবেশ করেছে। নিম্মাঞ্চলগুলো পানির নিচে তলিয়ে গেছে । এই অবস্থা চলতে থাকলে খাগড়াছড়িতে আগামী ২৪ ঘন্টার মধ্যে বড় ধরনের একটা দুর্যোগ নেমে আসতে পারে।

বাণিজ্য প্রতিদিনের সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

শব্দমিয়াপাড়ার বাসিন্দা মো. ফারুক বলেন, ঘরে কোমড় সমান পানি হয়েছে । এখনো ভারি বৃষ্টি ঝড়ছে । থামার কোন লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। এভাবে চলতে থাকলে বন্যা বড়
আকারে ধারন করতে পারে সেই সাথে পাহাড় ধসের সম্ভাবনা রয়েছে।

মহালছড়ি উপজেলার ২৪মাইল সড়ক ডুবে যাওয়ায় গতকাল থেকে খাগড়াছড়ি ও রাঙ্গামাটির সড়ক যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে ।

খাগড়াছড়ি ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফিন্সের স্টেশন কর্মকর্তা রাজেশ বড়ুয়া বলেন, পাহাড় ধস হলে ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা থাকে। তাই আমরা ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় গিয়ে স্থানীয়দের নিরাপদ স্থানে চলে যাওয়ার জন্য বলছি। প্রশাসন সবজায়গায় মাইকিং করছেন।

খাগড়াছড়ির জেলা প্রশাসক মো. শহিদুজ্জামান বলেন, বিভিন্ন এলাকায় মেয়রসহ জনপ্রতিনিধিরা পরিদর্শন করেছেন। সদরে চারটি আশ্রয় কেন্দ্র খোলা হয়েছে। আশ্রয় কেন্দ্রে মানুষ যাচ্ছে । মেয়র খাবার ব্যবস্থা করেছেন।

এএন