সম্প্রতি ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) নয়জন শিক্ষককে অবাঞ্ছিত ও ক্লাস থেকে বয়কটের ঘোষণা দিয়ে তাদের ছবি সম্বলিত ব্যানার ক্যাম্পাসের বিভিন্ন স্থানে টাঙানো হয়। এমন কর্মকাণ্ডকে ‘ন্যাক্ক্যারজনক’ উল্লেখ করে নিন্দা জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি।
শুক্রবার (২৭ সেপ্টেম্বর) সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মোঃ আনোয়ার হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মোঃ মামুনুর রহমানের পাঠানো এক বিবৃতিতে এই নিন্দা জানানো হয়।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, সম্প্রতি ইসলামী বিশ্ববিদ্যায়ের বিভিন্ন বিভাগের নয়জন সম্মানিত শিক্ষককে অবাঞ্ছিত ঘোষণা ও তাদেরকে ক্লাস থেকে বয়কট করা সংক্রান্ত পোস্টার টানানোর সংবাদটি সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে শিক্ষক সমিতির দৃষ্টিগোচর হয়েছে। সাধারণ শিক্ষার্থীদের নাম ব্যবহার করে যারা এই ন্যাক্কারজনক কাজ করেছেন তাদের প্রতি শিক্ষক সমিতি নিন্দা জ্ঞাপন করছে। শিক্ষক সমিতি মনে করে যে, এই ধরনের অনভিপ্রেত ঘটনা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী সর্ম্পক নষ্ট করার অপচেষ্টা, যা বিশ্ববিদ্যালয়ের সুন্দর ও সুষ্ঠ পরিবেশের প্রতিবন্ধক।
নেতৃবৃন্দ আরও বলেন, আমাদেরই সচেতন বৈষম্য বিরোধী শিক্ষার্থীরা টানানো ব্যানারগুলো খুলে পুড়িয়ে ফেলেছে যা প্রশংশার দাবী রাখে। শিক্ষক সমিতি তাদেরকে ধন্যবাদ জানাচ্ছে। শিক্ষক সমিতি আশা করে, দল-মত নির্বিশেষে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারে দীর্ঘদিন যে সৌহার্দ্যমূলক সর্ম্পক বজায় রয়েছে, সেই সর্ম্পক রক্ষা করার জন্য সবাই সচেতন থাকবেন।
প্রসঙ্গত, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে জুলাইয়ের গণহত্যা সমর্থন করার অভিযোগ তুলে নয় শিক্ষককে বিশ্ববিদ্যালয়ে অবাঞ্ছিত এবং ক্লাস থেকে বয়কট ঘোষণা করে পোস্টার টানানো হয়। গত ১২ সেপ্টেম্বর ক্যাম্পাসের প্রধান ফটক, বিভিন্ন অনুষদভবনসহ কয়েক জায়গায় সাধারণ শিক্ষার্থীবৃন্দের ব্যানারে পোস্টারগুলো ঝুলানো হয় বলে দৃষ্টিগোচর হয়। তবে কারা পোস্টারগুলো ঝুলিয়েছে তা জানা যায়নি। বিষয়টি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক পরিষদের নজরে আসলে তারা সেগুলো নামিয়ে ফেলেন এবং পুড়িয়ে দেন।
এম জি