উচ্চশিক্ষার মান বজায় রাখতে শিক্ষকের গুণগতমান বাড়ানোর ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন শিক্ষাবিদরা। বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের জন্য টিচার্স ট্রেনিং একাডেমি গঠনের কথা জানিয়েছেন তারা। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে একদিকে যেমন যোগ্য শিক্ষক নিয়োগ করা প্রয়োজন, তেমনি প্রয়োজন পৌনঃপুনিক প্রশিক্ষণের মাধ্যমে শিক্ষকদের পেশাগত উৎকর্ষ বৃদ্ধি। তা না হলে মানসম্মত শিক্ষক তৈরি হবে না। এজন্য শিক্ষকদের প্রশিক্ষণদানে স্থায়ী প্লাটফর্ম গড়ার ওপর জোর দেন তারা।

ফাউন্ডেশন ফর লার্নিং, টিচিং অ্যান্ড রিসার্চ (এফএলটিআর) উদ্যোগে ‘সার্টিফিকেট ইন ই-লার্নিং অ্যান্ড টিচিং-সিইএলটি’ কোর্সের সনদ বিতরণ উপলক্ষে শুক্রবার (২৭ আগস্ট) অনলাইন প্লাটফর্মে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বক্তারা এসব কথা বলেন। তৃতীয়বারের মতো আয়োজিত এ কোর্সে পাবলিক ও প্রাইভেট পর্যায়ের মোট ১১টি বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫৭ জন শিক্ষক প্রশিক্ষণ নেন।

ফাউন্ডেশনের চেয়ারপারসন ও গ্রিন ইউনিভার্সিটির ভিসি অধ্যাপক ড. মো. গোলাম সামদানী ফকিরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের (ইউজিসি) সদস্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আলমগীর প্রধান অতিথি ও উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক ড. সৈয়দ হুমায়ুন আখতার বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন। অনুষ্ঠানে ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি অধ্যাপক ড. ইউসুফ মাহবুবুল ইসলাম, আইইউবিএটির ভিসি অধ্যাপক ড. আবদুর রব বক্তব্য রাখেন।

বাণিজ্য প্রতিদিনের সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

প্রধান অতিথির বক্তব্যে অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আলমগীর বলেন, করোনা থাকুক বা না থাকুক, ব্লেন্ডেড লার্নিং থাকবে। এর প্রয়োজনীয়তা কখনই শেষ হবে না। তিনি বলেন, পাবলিক ও প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের জন্য প্রশিক্ষণ সবসময়ই অপরিহার্য ছিল। অথচ গত কয়েক দশক ধরেও ওই অর্থে এ ব্যবস্থা চালু হয়নি।

অধ্যাপক ড. আলমগীর বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের উদ্যোগে ইউনিভার্সিটি টিচার্স ট্রেনিং একাডেমি গঠন নিয়ে কাজ চলছে। বিষয়টি নিয়ে ইতোমধ্যেই শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে বৈঠক হয়েছে। আশা করা যায়, এর মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের ট্রেনিংয়ের ব্যাপারে ইতিবাচক কিছু হবে। এ সময় টিচার্স ট্রেনিং একাডেমির পাশাপাশি ন্যাশনাল রিসার্চ কাউন্সিল ও সেন্ট্রাল রিসার্চ ল্যাবরেটরি গঠনে উদ্যোগের কথাও জানান।

অনলাইন শিক্ষার অতীত ও বর্তমানসহ নানাদিক নিয়ে আলোচনা করেন উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. সৈয়দ হুমায়ুন আখতার। এ সময় অনলাইন শিক্ষার জন্য স্থায়ী প্লাটফর্ম গড়ার ওপর জোর দেন তিনি।

অধ্যাপক ড. মো. গোলাম সামদানী ফকির বলেন, শিক্ষার ধারণা সার্বজনীন। এর গণ্ডি নির্দিষ্ট কোনো প্রতিষ্ঠানের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়, তেমনি এর স্বরূপও অফলাইন-অনলাইন বিবেচ্য নয়। অনলাইন শিক্ষার ক্ষেত্রে এ দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তন করতে হবে। তবেই শিক্ষায় নতুন দ্বার উন্মোচিত হবে।