ঠাকুরগাঁও থেকে রংপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি কোচিং করতে আসা তাহমিদ ইব্রাহীম ওরফে রাফি নামের এক শিক্ষার্থী নিখোঁজ হয়েছেন। নিখোঁজ দুইদিন পরেও তার কোন খোঁজ পাচ্ছেন না পরিবারের সদস্যরা।
এঘটনায় গত শনিবার রংপুর মেট্রোপলিটন কোতোয়ালী থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করা হয়েছে। যার নম্বর (জিডি নং-১৬০০) তাহমিদ ইব্রাহীম রাফির নিখোঁজ হবার বিষটি নিশ্চিত করেন তার ভাই মাহবুবুর রহমান সোমবার জানান, ঠাকুরগাঁও থেকে শনিবার রংপুরে বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি কোচিং করতে আসে। এর পর থেকে তার কোন খোঁজ পাচ্ছেনা পরিবারের সদস্যরা।
এবিষয়ে থানায় একটি সাধারণ ডায়রি করা হয়েছে বলে জানান তিনি। থানায় দায়ের করা সাধারণ ডায়রি সূত্রে জানা গেছে, ঠাকুরগাঁওয় সদর উপজেলার কচুবাড়ি গ্রামের একরামুলের ছেলে তাহমিদ ইব্রাহীম রাফি বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি কোচিং করতে রংপুরে এসেছিলেন। তিনি রংপুর নগরীর বেতার এলাকার পাশে কছির উদ্দিন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পাশের গুলশান ছাত্রাবাসে থাকতেন।
ঘটনার দিন ২৫ ডিসেম্বর শনিবার সকাল সাড়ে আটটার দিকে বাড়িতে (ঠাকুরগাঁও) যাবার কথা বলে গুলশান ছাত্রাবাস থেকে বের হন রাফি। সকাল দশটায় মা জুঁই বেগম তার ছেলে রাফির নম্বরে ফোন করলে ব্যস্ত থাকার কথা বলে কল কেটে দেওয়া হয়। এরপর একাধিবার চেষ্টা করেও রাফির ফোন নম্বর সচল পাওয়া
যায়নি।
রাফির ভাই মাহবুবুর রহমান বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি কোচিং করতে এ মাসের প্রথম সপ্তাহে রাফি ঠাকুরগাঁও থেকে এসে রংপুরে গুলশান ছাত্রাবাসে সিট নেন। সেখানে প্রায় ২০ দিন ধরে ছিলেন। ঘটনার দিন সন্ধ্যা ছয়টার দিকে রাফির বড় ভাই সুজনকে ফোন করে জানতে পারি ঠাকুরগাঁওয়ে রাফি তাদের বাড়িতে পৌঁছেনি। পরে বিভিন্ন মাধ্যমে পরিচিত সব জায়গায় আরও খোঁজখবর নেওয়া হয়। কিন্তু কোথাও কোনো সন্ধান না পেয়ে পরে রাফির পরিবারের অনুরোধে থানা পুলিশকে জিডির মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়।
নিখোঁজ রাফির পড়নে শীতের কাপড় ছিল। তাঁর গায়ের রঙ শ্যামলা এবং মুখ গোলাকৃতি। তার উচ্চতা ৫ ফিট ৪ ইঞ্চি, শারীরিক গঠন মেডিয়াম ও স্বাস্থ্য ভালো এবং মাথার চুল খাটো।
রাফির সন্ধান চেয়ে মাহবুবুর রহমান বলেন, গেল দুদিনে বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুঁজি করা হয়। আমাদের সকল আত্মীয়-স্বজন ও পরিচিতজনদের বাড়িতে খোঁজ নিয়ে তার কোনো সন্ধান পাওয়া যায়নি। এখনো সম্ভাব্য সকল পরিচিতদের নিখোঁজ হওয়ার বিষয়টি জানিয়ে তাঁর খোঁজ করা হচ্ছে। পুলিশের পাশাপাশি র্যাব, পিবিআইসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিভিন্ন বিভাগেও বিষয়টি জানানো হয়েছে।
সাধারণ ডায়েরির বিষয়টি নিশ্চিত করে নিখোঁজ ব্যক্তির সন্ধানে পুলিশ চেষ্টা করছেন বলে জানিয়েছেন কোতোয়ালী থানার ওসি আব্দুর রশিদ।