Top

সিজার করতে গিয়ে নবজাতক শিশুর কপাল কেটে ফেললেন আয়া-নার্স

১৫ জানুয়ারি, ২০২২ ৪:০৩ অপরাহ্ণ
সিজার করতে গিয়ে নবজাতক শিশুর কপাল কেটে ফেললেন আয়া-নার্স
ইয়াকুব আলী তুহিন, ফরিদপুর :

ফরিদপুরের আল-মদিনা বে-সরকারি হাসপাতালে গাইনী ডাক্তার ছাড়াই আয়া এবং নার্সের হাতে সিজার হওয়া এক শিশুর কপাল কেটেঁ গুরুতর জখম করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। নয়টি সেলাই নিয়ে শিশুটি এখন গুরুতর অসুস্থ। এই ঘটনায় ক্লিনিকের মালিক জাকারিয়া মোল্লা পলাশ ও আয়া চায়না বেগমকে আটক করেছে কোতয়ালী থানা পুলিশ।

শনিবার সকালে শহরের আল-মদিনা প্রাইভেট হাসপাতাল ও ডায়াগনষ্টিক সেন্টারে এই ঘটনা ঘটে। ভুক্তভোগী নারী রূপা বেগম রাজবাড়ী জেলার গোয়ালন্দ থানার উজানচর ইউনিয়নের মৈজদ্দিন মন্ডলপাড়া গ্রামের শফিক খানের স্ত্রী।

রোগীর ভাই আমির ফয়সাল জানান, শনিবার সকাল ৮টায় প্রসব যন্ত্রণা নিয়ে ফরিদপুর মেডিকেল হাসপাতালের বিপরিতে আল-মদিনা প্রাইভেট হাসপাতালে বোনকে ভর্তি করি। গাইনী ডাক্তার আসার আগেই তার বোনকে আয়া ও নার্স মিলে সিজার করে। বাচ্চা বের করে আনার পর দেখা যায় তার কপালে ৯টি সেলাই ও বাচ্চাটি খুবই অসুস্থ। বিষয়টি তারা লুকানোর চেষ্টা করলে আমরা প্রশাসনকে জানাই। পুলিশ এসে হাসপাতালের মালিক ও আয়াকে গ্রেপ্তার করে নিয়ে যায়।

এব্যাপারে উক্ত প্রতিষ্ঠানের কর্তব্যরত গাইনী চিকিৎসক নুসরাত জাহান জানান এ ব্যাপারে তাকে কিছুই জানানো হয়নি এবং তিনি এ হাসপাতালে ডেলিভারি করেন না। দিনে তিনবার রোগীদের পরিদর্শন করেন। গরিব ও অসহায় মানুষের চিকিৎসার নামে এধরণের হয়রানি এবং ক্ষতিগ্রস্থ কারীদের শাস্তি চান শিশুটির ফুফা আসলাম খান। রোগীদের চিকিৎসার নামে এই বে-সরকারি হাসপাতালটি ডাক্তার, নার্স, আয়াসহ নানা অনিয়ম নিয়ে অভিযোগ করেন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অনেকে।

ঘটনাস্থলে ফরিদপুর সিভিল সার্জন ডাঃ মোঃ সিদ্দিকুর রহমান,ফরিদপুর সদর উপজেলা নির্বাহি অফিসার মোঃ মাসুদ আলম,সদর সার্কেল অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুমন রঞ্জন সরকার পরিদর্শন করে উক্ত প্রতিষ্ঠানের পরিচালকসহ ২ জনকে আটক করেন আটককৃতরা হলো ১।মোঃ জাকারিয়া মোল্লা পলাশ(৫০) পিতা- মৃত
আতিয়ার রহমান মোল্লা সাং কোমরপুর কোতোয়ালী ফরিদপুর ২। চায়না রহমান (৪৫) স্বামী -,মোঃ মামুন সাং ধূলদি কোতয়ালী ফরিদপুর। এ ব্যাপারে কোতয়ালী থানায় মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। হাসপাতালটির বিভিন্ন অনিয়মসহ এই ঘটনার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে ও তারা জানান।

শেয়ার