Top
সর্বশেষ

মিঠাপুকুরে নির্বাচন কর্মকর্তার অডিও ক্লিপ ফাঁস

০৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২২ ৬:৩১ অপরাহ্ণ
মিঠাপুকুরে নির্বাচন কর্মকর্তার অডিও ক্লিপ ফাঁস
সাজ্জাদ হোসেন বাপ্পী ,রংপুর :

রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলার ইউনিয়ন পরিষদ নিবাচনের পাঁচ দিন আগে প্রার্থী ও উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তার একটি অডিও ক্লিপ ঘিরে তোলপাড় শুরু হয়েছে উপজেলা জুড়ে। নির্বাচনে সাড়ে চার লাখ টাকার বিনিময়ে এক ইউপি সদস্য প্রার্থীকে নির্বাচিত করার‌্য আশ্বাস দিয়েছেন নির্বাচন কর্মকর্তা আব্দুল হান্নান এমন অডিওটি এরই মধ্যে ভাইরাল হয়েছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। যেখানে টাকা-পয়সা লেনদেনসহ পুরো পরিকল্পনার তথ্য ফাঁস হয়েছে।
উপজেলার বালারহাট ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের সদস্য প্রার্থী রফিকুল ইসলাম ফুটবল প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করছেন। ভোটযুদ্ধে সাড়ে চার লাখ টাকার বিনিময়ে রফিকুলকে জয়ী করতে ভোটকেন্দ্র থেকে প্রতিপক্ষের লোকজনকে বের করে দেওয়া এবং ভোটের আগেই তন্তত ৩শ’ ব্যালট পেপার সরবরাহের চুক্তি করেছেন মিঠাপুকুর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আব্দুল হান্নান।
ফাঁস হওয়া অডিওতে শোনা যায়, আব্দুল হান্নান ওই ইউপি মেম্বার প্রার্থীকে বোঝাচ্ছেন, নির্বাচন করতে গেলে প্রতিদিনই ১০ হাজার করে টাকা ব্যয় হবে ও তাতে ৫ থেকে ১০ লাখ টাকা খরচ হবে। সেটি করলেও তাতে নির্বাচিত হওয়ার কোনো গ্যারান্টি নেই। বরং তার সাথে পাঁচ লাখ টাকার চুক্তি করলে তিনি যেভাবেই হোক তাকে জিতিয়ে দিবেন। প্রিজাইডিং অফিসার, সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার ও প্রশাসনের সহযোগিতায় তিনি রফিকুলকে জিতিয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতিও দেন । আগামী আগামী ৭ ফেব্রুয়ারী উপজেলার ১৭টি ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন অনুষ্টিত হবে।
এ ব্যাপারে বালারহাট ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের ফুটবল প্রতীক নিয়ে সদস্য প্রার্থী রফিকুল ইসলামের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বিষয়টি স্বীকার করেন। তিনি গোপন চুক্তির বিষয়টি প্রকাশ হওয়ায় বিষ্ময় প্রকাশ করে বলেন, ভোটে জেতার জন্য দুই দফায় এলাকার একজন শিক্ষকের মাধ্যমে চুক্তি অনুযায়ী দুই দফায় ওই নির্বাচন কর্মকর্তাকে সাড়ে ৪ লাখ টাকা দিয়েছেন।
এদিকে অডিও ফাঁস হওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করেছেন উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আব্দুল হান্নান । তিনি জানান, একটি পক্ষ মিথ্যা ও ভিত্তিহীনভাবে তার বিরুদ্ধে এসব অডিও তৈরি করে ছড়িয়ে দিয়েছে। তিনি ওই রফিকুল ইসলামের কাছ থেকে কোনো টাকা গ্রহণ করেননি। নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার অপচেষ্টার কারণে রফিকুলকে প্রধান আসামি করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার হুমকিও দিয়েছেন তিনি।
এ ব্যাপারে আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা জি. এম. সাহাতাব উদ্দিনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি পুরো ঘটনাটি যাচাই-বাছাই করে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দেন তিনি।

শেয়ার