Top
সর্বশেষ

মাগুরায় বিভিন্ন হাটবাজারে ‘স মিল’ গড়ে উঠছে

০৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২২ ৪:৫৩ অপরাহ্ণ
মাগুরায় বিভিন্ন হাটবাজারে ‘স মিল’ গড়ে উঠছে
আরজু সিদ্দিকী, মাগুরা :

মাগুরা জেলার বিভিন্ন উপজেলায় ও হাট বাজারে কোনো নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে যত্রতত্র গড়ে ওঠা স’মিলের নেই বৈধ লাইসেন্স। বড় একটি অংশের বৈধ কোনো কাগজপত্র নেই। এদিকে অভ প্রশাসন বলছে দ্রুতই ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এক পরিসংখ্যানে জানা গেছে, শালিখা উপজেলার সাতটি ইউনিয়নে প্রায় ১০০টি স’মিল রয়েছে। বেশির ভাগ স’মিল স্থাপিত হয়েছে উপজেলার সীমাখালী, শতখালী, চতুরবাড়িয়া, আড়পাড়া পুলুম, শালিখা, সিংড়াসহ বিভিন্ন হাটবাজারসংলগ্ন ও বন বিভাগের নির্ধারিত এলাকায়।

সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্র জানায়, স’মিল স্থাপন বিধিতে বলা হয়েছে, সরকারি অফিস-আদালত, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, হাসপাতাল, স্বাস্থ্যকেন্দ্র, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান, বিনোদন পার্ক, উদ্যান ও জনস্বাস্থ্য বা পরিবেশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ কোনো স্থানের ২০০ মিটার এবং সরকারি বনভূমির সীমানার ১০ কিলোমিটারের মধ্যে স’মিল স্থাপন করা যাবে না। এ ছাড়া সকাল ৬টার আগে এবং সন্ধ্যা ৬টার পরে স’মিল চালানো যাবে না। স’মিল চালানোর ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে যথাযথ প্রক্রিয়ায় নির্ধারিত ফি প্রদান সাপেক্ষে লাইসেন্স গ্রহণ বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। কিন্তু সরকারি সব বিধিনিষেধ উপেক্ষিত হচ্ছে এসব মিলে। বন ও পরিবেশ বিভাগের তদারকির অভাবে রাস্তার পাশ, আবাসিক স্থান, বাণিজ্যিক এলাকা ও বন বিভাগের আওতাধীন এলাকাতেও স্থাপিত হয়েছে এসব স’মিল।

লাইসেন্স না থাকার ব্যাপারে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ক’জন স’মিল মালিক জানান, তারা লাইসেন্স ছাড়াই চলতে পারছেন। তাই লাইসেন্স করার দরকার কী। আইন ও অধিকার বাস্তবায়ন পরিচালক গবেষক শ্রী ইন্দ্রনীল বিশ্বাস বলেন, আমার জানা মতে, শালিখা উপজেলায় কোনো স’মিলের বৈধ লাইসেন্স নেই।

প্রশাসনিক কর্মকর্তা নবিরুজ্জামান বলেন, করোনা পরিস্থিতির কারণে আমরা এ ব্যাপারে অভিযানে নামতে পারিনি। তবে বিষয়টি নিয়ে ইউএনও মহোদয়ের সাথে কথা বলে শিগগিরই ব্যবস্থা নেয়া হবে। অভিজ্ঞ মহল বলেছেন এসব অবৈধ সমিল স্থাপন ও পরিচালিত হওয়ায় এলাকায় পরাবেশ নষ্ট ও জনস্বাস্থ্য হুমকির সম্মুখিন হচ্ছে। তাই জনস্বার্থে উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষ অবিলম্বে এ বিষয়ে ব্যাবস্থা গ্রহণ করবেন বলে এলাকাবাসী মনে করেন।

শেয়ার