নোয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক কমিটি সব লুটেপুটে খাচ্ছে। তারা জেলা আ.লীগকে ধংস করার চেষ্টা করছে, তবে কেন করছে তা জানি না, এমন মন্তব্য করেছেন নোয়াখালী-৪ (সদর-সুবর্ণচর) আসনের সংসদ সদস্য একরামুল করিম চৌধুরী।

তিনি শনিবার দুপুরে নোয়াখালী সদর উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে উপজেলা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক সমিতির আয়োজনে অনুষ্ঠিত মানসম্মত প্রাথমিক শিক্ষা নিশ্চিতকল্পে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

বর্তমান জেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক কমিটির আহ্বায়ক ও সুবর্ণচর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ খায়রুল আনম সেলিমকে অত্যাচারী উল্লেখ করে এমপি একরাম বলেন, তিনি নিজেকে জনপ্রিয় মনে করেন। আসলে তা নয়, এ অঞ্চলের মানুষগুলো তাকে ও তাদেরকে পছন্দ করে না।

বাণিজ্য প্রতিদিনের সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

এমপি আরও বলেন, সদর উপজেলা পরিষদের সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান এ্যাডভোটের শিহাব উদ্দিন শাহিন ৩ থেকে ৫ লাখ টাকা ঘুষ নিয়ে বিভিন্ন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পিয়ন নিয়োগ দিয়েছেন। একটা গরীব লোক যদি ৩-৫ লাখ টাকা ঘুষ দিয়ে চাকরি নেন, তখন তো সে এ চাকরি করে সংসার চালাতে পারবে না, তখনতো সে পিয়নগিরি না করে দানায়-পানায় করবে, শিক্ষকদের কথাও শুনবে না। তিনি বর্তমান উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান সামছুদ্দিন জেহান ও উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারকে নির্দেশ দিয়ে বলেন, যেসকল বিদ্যালয়ের পিয়ন কাজ করে না, শিক্ষকদের কথা শুনে না তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেন।

জানতে চাইলে সদর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও জেলা আ.লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক এ্যাডভোকেট শিহাব উদ্দিন শাহিন বলেন, তাঁর হাতে কোন নিয়োগ হয়নি। বরং এসব নিয়োগ বোর্ডে সাংসদের প্রতিনিধি ও নির্বাহী কর্মকর্তা ছিলেন। যদি ঘুষ নেওয়া হয় তাহলে তার লোকজন নিয়েছেন। শুধু এসব নিয়োগে নয়, জেলার সকল নিয়োগে সাংসদ ও তার লোকজন ঘুষ নেন। এখন নিজের দোষ ঢাকার জন্য অন্যের ওপরে দায় ছাপাচ্ছেন বলে উল্টো অভিযোগ করেন শিহাব উদ্দিন শাহিন।