Top

হত্যাকাণ্ডের পর দীর্ঘ ১৮ বছর আত্মগোপনে ছিলেন

২২ জানুয়ারি, ২০২৩ ৭:৩৯ অপরাহ্ণ
হত্যাকাণ্ডের পর দীর্ঘ ১৮ বছর আত্মগোপনে ছিলেন
রংপুর প্রতিনিধি :

হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন দণ্ডাদেশপ্রাপ্ত পলাতক আসামি ওয়াহেদুল ইসলামকে গ্রেফতার র‌্যাব-১৩ রংপুর ক্যাম্পের সদস্যরা। হত্যাকাণ্ডের ঘটনার পর দীর্ঘ ১৮ বছর ধরে আত্মগোপনে ছিলেন ওয়াহেদুল। শনিবার রাতে ঢাকার উত্তরা মডেল টাউন এলাকায় র‌্যাব-১৩ ও র‌্যাব-১ যৌথ অভিযান পরিচালনা করে তাকে গ্রেফতার করে। সে রংপুর মহানগরীর জলছত্র শেখটারী এলাকার মৃত তমিজ উদ্দিনের ছেলে। রোববার বিকেলে গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানান, র‌্যাব-১৩ এর রংপুর সদর দপ্তরের সিনিয়র সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট মাহমুদ বশির আহমেদ।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ২০০৪ সালের (২৪ ডিসেম্বর) ওয়াহেদুল ইসলামসহ তার সহযোগিরা মিলে প্রেমিকাকে নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। এর পর গজঘন্টা ওমর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কাছে পৌঁছালে মইনুল ইসলাম নামে একজন তাদের বাঁধা প্রদান করে। এতে ক্ষুদ্ধ হয়ে ওয়াহেদুলসহ তার সহযোগিরা ওই ব্যক্তিকে লাঠি ও লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে রক্তাক্ত অবস্থায় ফেলে রেখে পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয়রা তাকে হাসপাতালে নেওয়ার পথে মইনুল মারা যায়।

এ ঘটনায় নিহত মইনুল ইসলামের বাবা বাদী হয়ে ওই বছরের (২৫ ডিসেম্বর) গঙ্গাচড়া থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। ঘটনার পর পরই আসামি ওয়াহেদুল ইসলাম বিভিন্ন স্থানে বিভিন্ন পরিচয়ে আত্মগোপন করে। ২০১৩ সালের ২৯ অক্টোবর অতিরিক্ত দায়রা জজ ২য় আদালতে আসামির বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ সন্দেহাতীত ভাবে প্রমাণিত হওয়ায় বিচারক পলাতক ওয়াহেদুল ইসলামকে দোষী সাব্যস্ত করে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করেন। একই সঙ্গে এক লাখ টাকা অর্থদণ্ডে দণ্ডিত করেন।

ওয়াহেদুল ইসলাম দীর্ঘ ১৮ বছর আত্মগোপনে থাকার পর তার সন্ধানে মাঠে নামে র‌্যাব। পরে প্রযুক্তি ও গোয়েন্দা অনুসন্ধানের মাধ্যমে আসামির অবস্থান সম্পর্কে নিশ্চিত হয়ে তাকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে লাঠি ও লোহার রড দিয়ে বুকে উপর্যুপরি আঘাতের মাধ্যমে মইনুল ইসলামকে হত্যা করা হয় বলে আসামি ওয়াহেদুল ইসলাম স্বীকার করেছেন। আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য রোববার আসামিকে রংপুর মেট্রোপলিটন পরশুরাম থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয় বলে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে র‌্যাব-১৩ এর কর্মকর্তা।

শেয়ার