বর্তমান বাজার অস্থিতিশীলতা, ব্যাংকের সাথে হিসাবের অমিল, কাঁচামাল অপর্যাপ্ততা এবং ফ্যাক্টরীর উৎপাদন কার্যক্রমের অপ্রতুলতার জন্য কেয়া কসমেটিকস্ লিমিটেড (নীট কম্পোজিট ডিভিশন) ডাইং ও ইউটিলিটি বিভাগের সকল কার্যক্রম আগামী ২০ মে থেকে স্থায়ীভাবে বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারি) বিকেলে প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক, ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও কেয়া কসমেটিকস লিমিটেডের চেয়ারম্যান (নীট কম্পোজিট ডিভিশন) স্বাক্ষরিত একটি নোটিশ কারখানার প্রধান ফটকে সাঁটিয়ে দেন এ ঘোষণা দেয় কর্তৃপক্ষ।
নোটিশে কেয়া কসমেটিকস্ লিমিটেড (নীট কম্পোজিট ডিভিশন) কর্তৃপক্ষ আরো উল্লেখ করেন, কেয়া কসমেটিকস লিমিটেডের ডাইং ও ইউটিলিটি বিভাগের (জরুন, কোনাবাড়ী, গাজীপুর) সকল শ্রমিক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীর অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে যে, বাংলাদেশ শ্রম আইন ২০০৬, ধারা (২৬) শ্রম বিধিমালা ২০১৫ অনুযায়ী সকল পাওনাদী বন্ধের পরবর্তী ৩০ (ত্রিশ) কর্মদিবসের মধ্যে প্রদান করা হবে। বাংলাদেশ শ্রম আইনের বিধি অনুযায়ী তাদের সব পাওনা কারখানা বন্ধের ৩০ কর্ম দিবসের মধ্যে পরিশোধ করা হবে।
কারখানা স্থায়ী বন্ধ ঘোষণার খবরে বিভিন্ন সেকশনে কর্মরত প্রায় সাত শতাধিক শ্রবণ ও বাক প্রতিবন্ধী কারখানা খোলার দাবিতে প্রধান ফটকে বিক্ষোভ করে। পরে তারা সন্ধ্যা সাড়ে ৬ টার সময় কেয়া গ্রুপের সামনে সাজু মার্কেটে একত্রিত হয়ে কারখানা খোলার দাবিতে গণস্বাক্ষর নেয়।
ওই নোটিশের অনুলিপি শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের অধীন কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের গাজীপুরের টঙ্গীর উপ-মহা পরিদর্শক, গাজীপুরের শিল্প পুলিশ-২ এর পুলিশ সুপার (এসপি), বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) সভাপতি, গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ (জিএমপির) কাশিমপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি), কারখানার নোটিশ বোর্ড এবং তাদের প্রধান কার্যালয়ে দেয় কারখানা কর্তৃপক্ষ।
প্রসঙ্গত, এর আগে গত ৩১ ডিসেম্বর একই কারণ দেখিয়ে কেয়া গ্রুপের নীট কম্পোজিট গার্মেন্টস ডিভিশন, নীটিং বিভাগ, স্পিনিং ডিভিশন, কটন ডিভিশন ও কেয়া ইয়ার্ন মিলস লিমিটেড কারখানা আগামী ১ লা মে থেকে স্থায়ী বন্ধ ঘোষণা করে কর্তৃপক্ষ।
এম জি