ভালোবাসার টানে ঘর ছেড়ে প্রেমিকার সাথে বাড়ী ছেড়ে পালিয়ে বিয়ে করার ১ বছর পর লাশ হয়ে ফিরেছে চরমজলিশপুর ইউনিয়নের চরগোপালগাঁও গ্রামের সিমা। শুক্রবার রাতে জানাজা শেষে বাড়ীর দরজায় দাদীর কবরের পাশে দাফন করা হয় তাকে।
জানা যায়, ফেনীর সোনাগাজী উপজেলার চরমজলিশপুর ইউনিয়নের চরগোপালগাঁও গ্রামের ইটালী প্রবাসী মোঃ ইব্রাহিম ২য় মেয়ে ফেনী জয়নাল হাজারী কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী সিমার সাথে বগাদানা ইউনিয়নের মৃত ওবায়দুল হকের ছোট ছেলে আবদুল্লাহ আল মাহমুদ আকাশের সাথে প্রায় ১ বছর যাবত প্রেমের সম্পর্কের সুত্র ধরে গত বছর ১০ ই রমজান বাড়ী ছেড়ে পালিয়ে বিয়ে করে।
এর পর কখনো চট্টগ্রাম কখনো ঢাকায় অবস্থান করে তারা। গত কয়েক মাস পুর্বে আকাশ ঢাকার উত্তর বাড্ডা সংলগ্ন বাটরা থানাধীন এলাকায় একটি ফ্লট ভাড়া নিয়ে বসবাস করছিল। ইতি মধ্যে সিমা ৮ মাসের অন্তসত্বা হয়। গত দেড় মাস পুর্বে আকাশের পরিবার রাতের আধারে কুঠিরহাটের বাসা থেকে মালামাল নিয়ে ঢাকায় উঠে।
গত বৃহস্পতিবার বিকেলে আকাশের মোবাইল থেকে ঢাকার পাশের ফ্লটের এক মহিলা সিমার পিতা মো ইব্রাহিম কে ফোন করে জানান তার মেয়ে মারা গেছে। ঢাকার বাসা থেকে লাশ নিয়ে যেতে বলা হয় তাকে। খবর পেয়ে মেয়ের পিতা মো ইব্রাহিম ঢাকায় গিয়ে জানতে পারে তার মেয়ে আত্মহত্যা করেছে। বাটরা থানা পুলিশ লাশ উদ্ধার করে পোস্ট মটেম রিপোর্টের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে প্রেরন করেন। শুক্রবার বিকেলে ময়না তদন্ত শেষে পরিবারের কাছে লাশ হস্তান্তর করে। এ ঘটনায় মেয়ের পিতা মো ইব্রাহিম বাদী হয়ে নিহতের স্বামী আকাশকে আসামী করে বাটরা থানায় একটি মামলা দায়ের করে।
মো ইব্রাহিম জানান, আমার অবুঝ মেয়েকে প্রতারনা করে বিয়ে করে সে পরিকল্পিত ভাবে হত্যা করে লাশ ঝুলিয়ে রেখে আত্যহত্যা বলে প্রচার করেছে। আমি মেয়ে হত্যার বিচার চাই।