ফেনীতে তানিসা ইসলাম (১১) নামে এক কিশোরীকে গলা কেটে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৯টায় সদর উপজেলার কালিদহ ইউনিয়নের মাইজবাড়িয়া গ্রামে আনোয়ার ড্রাইভার বাড়িতে এ ঘটনাটি ঘটে। নিহত তানিসা ওই বাড়ীর সৌদিপ্রবাসী শহিদুল ইসলামের মেয়ে। সে শহরের ডাক্তারপাড়া মহিউচ্ছুন্নাহ মাদ্রাসার ষষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল।
তানিসা ইসলামকে নৃশংসভাবে খুনের ঘটনায় জড়িত সন্দেহে পুলিশ তার জেঠাতো ভাই আক্তার হোসেন নিশানকে(১৭) আটক করেছে। পুলিশ ঘটনাস্থলে নিশানের জুতা পেয়ে তাৎক্ষণিক তাকে বাড়ী থেকে আটক করে।সে ওই বাড়ীর মৃত সাহাব উদ্দিনের ছেলে।
ধারনা করা হচ্ছে,তানিসাকে একা পেয়ে নিশান ধর্ষণের চেষ্টা চেলায়। ব্যার্থ হয়ে সে চাচাতো বোনকে খুন করে। ঘটনার সময় তানিসার মা পাশের ঘরে ছিলেন। তানিশার বড় ভাই মসজিদে ইতেকাফে ছিলেন। দাদিও তখন তারাবির নামাজ পড়ছিলেন বলে জানা গেছে। মা ঘরে এসে তানিসাকে না পেয়ে খুঁজছিলেন। এসময় ছাদে মেলে তানিসার রক্তাক্ত মৃত দেহ।
তানিসার মা তাহমিনা আক্তার জানান , গত ৫ মে ছিল তানিসার জন্মদিন। প্রতি বছর এইদিনটি পরিবারের জন্য আনন্দের। জন্মদিনের পরদিনই নিজ বাড়ীতে ৬ মে রাতে নৃশংসতার শিকার হয়ে প্রাণ গেল। তিন ভাইবোনের মধ্যে সবার ছোট ছিন তানিসা।
ফেনী মডেল থানার ওসি (তদন্ত) ওমর হায়দার জানান, “লাশ উদ্ধার করে ফেনী জেনারেল হাসপাতাল মর্গে নেয়া হচ্ছে। তার গলায় অস্ত্রের আঘাত ও রশি প্যাচানো ছিল।”
নির্মম এ হত্যাকান্ডের খবর পেয়ে জেলার শীর্ষ পুলিশ কর্মকর্তাদের নিয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যান পুলিশ সুপার খোন্দকার নুরুন্নবী। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, খুনের কারন এখনই বলা সম্ভব নয়।এখানে সিআইডি ও পিবিআই টিম এসেছে। আমরা বেশ কিছু তথ্য ও আলামত সংগ্রহ করেছি। নিশান নামে একজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে। স্বল্প সময়েই এই খুনের রহস্য উদ্ধার হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।