সামান্য বৃষ্টিতেই জলাবদ্ধতা রাস্তাঘাট ডুবে যাওয়া ভোগান্তি এ যেন চিলমারী বাসির জন্য নতুন কিছু নয় বরং এমন অবস্থাকে আর্শিবাদ হিসাবে ধরে নিয়েছেন এ অঞ্চলের জনগণ।
এমনিতেই খানাখন্দে ভরা উপজেলার সদরের বিভিন্ন রাস্তাঘাট।চিলমারীতে বেশকয়েটি বড় বড় প্রকল্পের কাজ থাকলেও চলাচলের রাস্তাগুলোর এমন বেহাল দশা বছরের পর বছর থেকেই যাচ্ছে। এর মধ্যে সামান্য বৃষ্টিতে কোথাও কোথাও হাটু পানি আবার কোথাও নোংরা কাঁদায় হাটাচলার চরম এক পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়।
কুড়িগ্রামের চিলমারী উপজেলার প্রাণ কেন্দ্রে অবস্থিত থানাহাট বাজার থেকে সবুজ পাড়া দূগার্ মন্দির এলাকায় সামান্য বৃষ্টি হলেই জরাবদ্ধতায় ভোগান্তি প্রায় লক্ষাধিক মানুষের। বিভিন্ন রাস্তার পাশে ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকায় সদরের গুরুত্বপূর্ণ রাস্তাগুলো এভাবেই তলিয়ে থাকে বৃষ্টির পানিতে। সড়ক ও জনপদ বিভাগের আওতাধীন এই সড়ক থানাহাট বাজার থেকে কাশিম বাজার, বজরা, উলিপুর হয়ে জেলা শহর কুড়িগ্রামে গিয়ে ঠেকেছেন।
সড়কটি দিয়ে প্রতিনিয়ত চিলমারী ,কাশিমবাজার,মাচাবান্দা সুন্দরগঞ্জ,হরিপুর সহ প্রায় লক্ষ্যধিক মানুষ চরফেরা করেন এবং তারা থানাহাট বাজারে আসেন। তাছাড়া সুনামধন্য একটি প্রতিষ্ঠান গোলাম হাবীব মহিলা ডিগ্রী কলেজের শিক্ষক শিক্ষার্থীদের এই জলাবদ্ধতা পার হয়ে কলেজে যেতে প্রতিদিন চরম ভোগান্তীর শিকার হতে হয়।শিক্ষার্থীদের এই ভোগান্তী কিছুটা কমিয়ে দিতে প্রতিষ্ঠানটির অধ্যক্ষ জনাব জাকির হোসেন কলেজের ফান্ড থেকে ইট গুরা (রাবিস) ফেলিয়ে রাস্তার এক পাশ কিছুটা উঁচু করলেও বৃষ্টিতে তা ধুয়ে গেছে।
বর্তমানে রাস্তাটি চলাচলের জন্য একেবারে অনুপযোগি হয়ে পরেছে। ভোগান্তির বিষয়ে জানতে চাইলে গোলাম হাবিব মহিলা ডিগ্রী কলেজের সহ অধ্যাপক মামুন অর রশ্মিদ বলেন, দীর্ঘ দিন যাবত এই রাস্তাটির এমন দশা থাকলেও কোন ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না ফলে কলেজের শিক্ষার্থীদের কলেজ আসতে ব্যাপক সমস্যা পোহাতে হয়।আমি কর্তৃপক্ষের কাছে অনুরোধ করছি দূ্রত এর সংস্কারের ব্যবস্থা করা হলে আমাদের সমস্যা কিছুটা লাঘব হবে। খোভ প্রকাশ করে কলেজ পড়ুয়া শিক্ষার্থী শাম্মী, শিল্পী, রেহেনা, জান্নাতুল ফেরদৌসি অনেকে বলেন আমাদের কলেজ আসতে খুব সমস্যা হয় রাস্তায় পানি ও কাঁদা থাকার কারণে পোশাক নষ্ট হয়ে যায়। এর ফলে আমরা প্রতিদিন কলেজে আসতে পারি না।
স্থানীয় বাসিন্দা ধীরেন্দ্রা নাথ সরকার বলেন, বাড়ি থেকে বার হলেই কাঁদা পানি হেটে হাট বাজারে যেতে হয় আমরা সরকারের কাছে আবেদন জানাই যত দ্রত সম্ভব আমাদের এই সমস্যা থেকে পরিত্রাণ করা হোক।
এ ব্যাপারে সড়ক ও জনপদ বিভাগের (এসডিই) মোঃ তানভির আহমেদেও সাথে মুঠোফোনে বেশ কয়েকবার যোগাযোগ করতে চাইলেও তাকে ফোনে পাওয়া যায়নি।