চট্টগ্রামের লোহাগাড়া উপজেলায় ধারালো দা দিয়ে কুপিয়ে পুলিশ কনস্টেবলের হাত থেকে কবজি বিচ্ছিন্ন করে পালিয়ে গেছেন কবির আহামদ (৩৫) নামের এক আসামি। তিনি লোহাগাড়ার পদুয়া ইউনিয়নের লালারখীল গ্রামের মৃত আলী হোসেনের ছেলে। আহত পুলিশ সদস্য হলেন জনি খান। জানা গেছে, আসামিকে ধরতে লোহাগাড়া থানা পুলিশ সাঁড়াশি অভিযানে নেমেছে।

রোববার (১৫ মে) সকাল পৌনে ১০টার দিকে উপজেলার পদুয়া ইউনিয়নের ৯ নম্বর লালারখিল ওয়ার্ডে মামলার আসামি কবিরকে ধরতে লোহাগাড়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) ভক্ত চন্দ্র দত্তের নেতৃত্বে চার সদস্যের একটি টিম তার বাড়িতে যায়। সেখানে এ ঘটনা ঘটে। তার বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলার বাদীকেও কুপিয়ে আহত করেন। টিমের অন্য সদস্যরা হলেন- সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) মুজিবুর রহমান, কনস্টেবল জনি খান ও শাহাদাত হোসেন।

আহত পুলিশ কনস্টেবল জনি খানকে প্রথমে লোহাগাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। পরে সেখান থেকে তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

বাণিজ্য প্রতিদিনের সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

পুলিশ জানায়, বাড়িতে ঢুকে অভিযান শুরুর পর কবিরকে প্রায় ধরে ফেলেছিল আমাদের পুলিশ সদস্যরা। এসময় তিনি কনস্টেবল জনি খানের বাম হাতে ধারালো দা দিয়ে কোপ মারে। এতে জনি খানের বাম হাত থেকে কবজি বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। তখন কবির পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়। অভিযানে পুলিশের সঙ্গে মামলার বাদী আবুল হোসেন কালুও ছিলেন। আসামি কবির যাবার সময় তাকেও দা দিয়ে কোপ মারে। এতে আবুল হোসেনও আহত হন।’

লোহাগাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আতিকুর রহমান জানিয়েছেন, লালারখিল গ্রামে দু’পক্ষে মারামারির ঘটনায় গত ২৪ মার্চ দায়ের হওয়া একটি মামলার এজাহারভুক্ত দুই নম্বর আসামি কবির। লালারখিল গ্রামের বাসিন্দা আবুল হোসেন কালু দণ্ডবিধির ১৪৩, ৪৪৭, ৩০৭, ৩২৫, ৩২৩, ৩২৪, ৪৪৮, ৩৮০, ৪২৭, ৫০৬ ধারায় মামলাটি দায়ের করেছিলেন।

চট্টগ্রামের পুলিশ সুপার (এসপি) এস এম রশিদুল হক বলেন, ‘আহত কনস্টেবলকে লোহাগাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসার পর চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

প্রয়োজনে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য অন্যত্র পাঠানো হবে বলে জানান এস এম রশিদুল হক।