সরঞ্জাম বিক্রয়ে অনিয়মের অভিযোগে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের এস্টেট অফিসের পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) টিপু সুলতানকে সাময়িকভাবে অব্যহতি দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। মঙ্গলবার রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) আতাউর রহমান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় স্টোরে রক্ষিত অব্যবহৃত মালামাল বিক্রয়ের বিষয়ে শোকজের জবাব সন্তোষজনক না হওয়ায় পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত টিপু সুলতানকে দাপ্তরিক কর্মকাণ্ড থেকে বিরত রাখা হলো।

এদিকে রেজিস্ট্রার দপ্তর থেকে পাঠানো অপর এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, উপ-রেজিস্ট্রার টিপু সুলতান, সহকারী রেজিস্ট্রার বকুল হোসেন, শাখা কর্মকর্তা উকিল উদ্দিন ও প্রশাসনিক কর্মকর্তা নাজমুল হোসেনের শোকজ নোটিশের জবাবে তাদের বক্তব্য ও ঘটনার বস্তুনিষ্ঠতা নিরূপন এবং লেকের পাশের গাছ বিক্রির টাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ফান্ডে জমা দেয়ার বিষয়টি অনুসন্ধান করতে ৫ সদস্য বিশিষ্ট একটি কমিটি
গঠন করেছেন ভিসি। কমিটিতে ইংরেজি বিভাগের প্রফেসর ড. মামুনুর রহমানকে আহ্বায়ক ও ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার আতাউর রহমানকে সদস্য সচিব করা হয়েছে। কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন, আইন বিভাগের প্রফেসর ড. রেবা মন্ডল, অর্থনীতি বিভাগের ড. দেবাশীষ শর্মা ও গণিত বিভাগের ড. আসাদুজ্জামান। কমিটিকে ১০ কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।

বাণিজ্য প্রতিদিনের সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

প্রসঙ্গত, বিশ^বিদ্যালয়ের পুরাতন জিনিসের স্টোর রুম থেকে গত ২৬ ও ২৭শে এপ্রিল ৫০ টাকা দরে ৪৩টি কম্পিউটারের পুরনো মনিটর বিক্রি করার অভিযোগ উঠে এস্টেট দপ্তরের ভারপ্রাপ্ত প্রধান টিপু সুলতান ও তার তিন সহযোগী বকুল হোসেন, উকিল উদ্দিন এবং নাজমুল হোসেনের বিরুদ্ধে। এছাড়াও ৪১ টাকা কেজি দরে ৪৩টি সিপিউ, একটি পুরাতন টাইপিং মেশিন, প্রিন্টার, তিনটি ফটোকপি মেশিন এবং গড়পর্তা দামে একটি পুরনো এসি, ২৩ কেজি ওজনের ৬টি লোহার পাইপ, প্রায় সাড়ে চারশ কেজি পুরনো কাগজ বিক্রি করেন তারা। এ ঘটনায় গত ১৪ই মে ওই চার কর্মকর্তাকে শোকজ করে কর্তৃপক্ষ।