প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে বিএম কনটেইনার ডিপোতে বিস্ফোরণের আহত রোগীদের সর্বোচ্চ চিকিৎসার প্রদানের ব্যবস্থা করা হবে বলে জানালেন শেখ হাসিনা বার্ন ইউনিটের প্রধান ও বিশেষজ্ঞ ডা. সামন্ত লাল সেন। তিনি রোগীদেও স্বাস্থ্যের বিষয়টি বিবেচনায় এনে অহেতুক হাসপাতালে ভিড় না করার সবাইকে অনুরোধ করেন।

সোমবার (৬ জুন) দুপুরে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে ভর্তি হওয়া রোগীদের পরিদর্শন শেষে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা জানান। এর আগে সকালে ডা. সামন্ত লাল সেনের নেতৃত্বে একটি বিশেষজ্ঞ টিম চট্টগ্রামে এসে পৌঁছায়। এরপর তিনি চমেক হাসপাতালে ওয়ার্ডে ভর্তি হওয়া রোগীদের খোঁজ-খবর নেন এবং চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলেন।

পরিদর্শন শেষে বার্ন ইউনিটের এই প্রধান বিশেষজ্ঞ বলে, সীতাকুণ্ডে অগ্নিকাণ্ডের বিষয়টি রাতে দেড়টায় আমি খবর পাই। এরপর থেকে খোঁজ খবর রাখতে শুরু করি। গতকাল প্রধানমন্ত্রী আমাকে বললেন, তুমি দেখ কী করা যায়, যাদের ঢাকায় আনতে হবে, নিয়ে আস। বাকিদের চট্টগ্রামে চিকিৎসা দাও। তুমি নিজে সেখানে যাও। গতকাল অনেককে ঢাকায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এই মুহূর্তে চমেক হাসপাতালে ভর্তি হওয়া রোগীদের তিন জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাদের ঢাকায় নিয়ে উচিত। আহতদের পরিবার চাইলে আমরা ঢাকায় নিয়ে সর্বোচ্চ চিকিৎসা দেওয়ার ব্যবস্থা করবো। এসব রোগীদের কীভাবে সুস্থ করা যায়, ভবিষ্যতে কি করবো এসব পরিকল্পনা ঠিক করবো। আমরা নিজেরাও কিছু নির্দেশনা নিয়ে কাজ করছি। আমরা ঢাকায় গিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে এ বিষয়টি জানাব।

বাণিজ্য প্রতিদিনের সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

ডা. সামন্ত লাল আরও বলেন, এখানে ভর্তি হওয়া অনেক রোগীকে ছেড়ে যাওয়া যাবে। অনেকের চোখে সমস্যা আছে। এখানকার চক্ষুবিশেষজ্ঞ দিয়ে ফলোআপ চিকিৎসা দেওয়া গেলে আস্তে আস্তে তারা সুস্থ হয়ে যাবে। একজনের ছোট বার্ন বড় হয়ে যেতে পারে ইনফেকশনের কারণে। আমি আশা করবো আপনারা বিষয়টি খেয়াল রাখবেন। এখানে পর্যাপ্ত সুযোগ-সুবিধার অভাবের পরও চিকিৎসকরা ভালো চিকিৎসা দিয়ে যাচ্ছেন। ঢাকায় ভর্তি হওয়া রোগীদের অবস্থা ভালো না। সব কিছু বিবেচনায় এনে আমাদের পরিকল্পনা করতে হচ্ছে।

এসময় চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মমিনুর রহমান, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগে দপ্তর সম্পাদক ও প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী বিপ্লব বড়ুয়া, চমেক হাসপাতালের পরিচালক মো. শামিম আহসান ছাড়াও বার্ন ইউনিটের চিকিৎকরা উপস্থিত ছিলেন।