সাতক্ষীরায় ক্লিনিক ভাংচুর ও ঔষধ ছিনতাইকালে বাঁধা দেওয়ায় এক স্বাস্থ্যকর্মীকে কুপিয়েছে দূর্বৃত্তরা।

সোমবার সকাল ১০টার দিকে সাতক্ষীরার তালা উপজেলার পাটকেলঘাটা থানাথীন যুগিপুকুরিয়া কমিউনিটি ক্লিনিকে ওই ঘটনা ঘটে। গুরুতর আহত কামরুল ইসলাম(৩৬)কে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করেছে স্থানীয়রা।

কামরুল ইসলাম তালা উপজেলার মাঝিয়াড়া গ্রামের সাংবাদিক নজরুল ইসলামের ছেলে। ওই ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে বেলাল হোসেন নামের এক যুবককে আটক করেছে পুলিশ।

বাণিজ্য প্রতিদিনের সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

আহতের বোন নিগার সুলতানা বলেন, আমার বড়ভাই এস এম কামরুল ইসলাম ১৩ জুন সোমবার সকালে যুগিপুকুরিয়া কমিউনিটি ক্লিনিকে স্বাস্থ্য সেবার (পোলিও খাওয়ানোর) দায়িত্ব পালন করছিলেন।

এসময় যুগিপুকুরিয়া গ্রামের সন্ত্রাসী বিল্লালসহ কয়েকজন ব্যক্তি আকস্মিক ওই কমিউনিটি ক্লিনিকের উপর হামলা ভাংচুর এবং ঔষধ ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে। এতে বাধা দেওয়ায় আমার বড় ভাই এস এম কামরুল ইসলামকে ধারালো দা দিয়ে মাথায় কুপিয়ে ও সারা শরীরে পিটিয়ে গুরুতর জখম করে। তাদের ধারালো দায়ের কোপে আমার বড় ভাইয়ের মাথায় বড় ধরনের ক্ষত হয়েছে।

সরকারি কাজ করতে গিয়ে আজ আমার ভাই মৃত্যু শয্যায়। ঘটনাস্থলেও মারাও যেতে পারতো। তবে সেটা হয়তো হয়নি।

তালা উপজেলার হেলথ এসোসিয়েশনের সভাপতি ইমরান হোসেন বলেন, যুগিপুকুরিয়া কমিউনিটি ক্লিনিকে সিএইচসিপি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন সূবর্ণা বিশ্বাস। তিনি মাতৃত্বকালীন ছুটিতে থাকায় তার পরিবর্তে দায়িত্ব পালন করছেন কামরুল ইসলাম। সকালে স্থানীয় বাসিন্দা বেলাল হোসেনের নেতৃত্বে ৪/৫ সন্ত্রাসী ক্লিনিক থেকে ওষুধ ছিনতাইয়ের চেষ্টা চালায়। তখন কামরুল ইসলাম বাঁধা দিলে তাকে দা দিয়ে মাথায়, হাতে ও বুকে কুপিয়ে গুরুতর আহত করে।

সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা ডাক্তার ফয়সাল আহমেদ বলেন, কামরুল ইসলামের মাথায় ও হাতে কয়েকটি সেলাই দেওয়া হয়েছে। তবে এখন তিনি আশঙ্কামুক্ত। পাটকেলঘাটা থানার ওসি কাঞ্চন কুমার রায় বলেন, ধারালো দা দিয়ে কুপিয়েছে স্বাস্থ্য সহকারী কামরুল ইসলামকে। ঘটনায় জড়িত বিল্লাল হোসেনকে আটক করা হয়েছে। জড়িত সকলের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।