আদালত সূত্রে জানা গেছে, নিহত সালমা আক্তারের বড় বোন শারমিন আক্তারের সাথে প্রেমের সম্পর্ক ছিল মাঈন উদ্দিনের। প্রেমের সুবাদে তারা প্রায়ই দৈহিক সম্পর্কে মিলিত হতো। সবশেষ গত ২০১২ সালের ৮ মে বিকেল ৪টার দিকে প্রেমিকা শারমিনের বাড়ির পাশে আসে মাঈন উদ্দিন। এরপর তারা দুই জন আবার পুনরায় দৈহিক সম্পর্কে মিলিত হলে ঘটনাটি দেখে ফেলে শারমিনের ছোট বোন সালমা আক্তার। বিষয়টি বাবা-মা’কে বলে দিবে বলে সালমা। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে মাঈন উদ্দিন একটি কাঠ দিয়ে সালমার মাথায় আঘাত করলে ঘটনাস্থলেই মারা যায় সালমা। পরে সালমার বোন ও তার প্রেমিক সালমার মৃতদেহ পাশের জঙ্গলে ফেলে দেয়। পরবর্তীতে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে মৃতদেহটি উদ্ধার করে।

ঘটনায় ওই বছরের ১১ মে কোম্পানীগঞ্জ থানার এসআই তানভির বাদী হয়ে নিহতের বোন ও তার প্রেমিককে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন এবং অভিযুক্ত দুইজনকে গ্রেপ্তার করে। কিন্তু আসামি শারমিনের বয়স সেসময় ১৬ বছর হওয়ায় তার বিরুদ্ধে শিশু আদালতে মামলা চলমান রয়েছে। অপরদিকে আসামি মাঈন উদ্দিনের বিরুদ্ধে সাক্ষী প্রমাণের ভিত্তিতে অভিযোগ প্রমানিত হওয়ায় দীর্ঘ ১০ বছর পর আদালত তাকে যাবজ্জীবন (আমৃত্যু) কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন।

বাণিজ্য প্রতিদিনের সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

রাষ্ট্র পক্ষের আইনজীবী গুলজার আহমেদ জুয়েল সালমা হত্যা মামলায় একজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।