ব্যাপক সম্ভাবনা থাকা স্বত্বেও পর্যটন শিল্পের বিকাশে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা অত্যান্ত জরুরি। পরিবেশের ভারসাম্য বজায় না রেখে পর্যটনের বিকাশ করা তেমন কার্যকর হবে না। তাই পর্যটকদের ফেলে দেয়া নানা বর্জ্য সঠিকভাবে ব্যবস্থাপনার আওতায় নিয়ে আসতে হবে।

ধারনা করা হচ্ছে, আগামী ৫০ বছর পর হাওর অঞ্চলে ব্যাপকহারে কমবে খাদ্য উৎপাদন। কারন একটি প্লাস্টিক বর্জ্য নষ্ট না হয়ে কয়েকশ বছর একইভাবে টিকে থাকে। এগুলো আবারও ব্যবহার উপযোগী করে তোলার দিকে আমাদেরকে মনযোগ দিতে হবে।

“পর্যটনে নতুন ভাবনা” শ্লোগানে বিশ্ব পর্যটন দিবস উদযাপন উপলক্ষে চাঁপাইনবাবগঞ্জে এক আলোচনা সভায় বক্তারা এসব কথা বলেন। মঙ্গলবার (২৭ সেপ্টেম্বর) সকালে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়। জেলা প্রশাসনের আয়োজনে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন, জেলা প্রশাসক একেএম গালিভ খাঁন।

বাণিজ্য প্রতিদিনের সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

সভাপতির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক একেএম গালিভ খাঁন বলেন, পর্যটন শিল্প নিয়ে ভাবনার আগে আমাদের মানসিক পরিবর্তন জরুরি। হাওর অঞ্চলে পানির সাথে রাস্তায় যাওয়ার অনুভূতি পেতে অনেক মানুষ যাচ্ছে। বিলাসবহুলভাবে সেখানে পর্যটন শিল্প গড়ে উঠেছে। চাঁপাইনবাবগঞ্জেও পর্যটন শিল্পের ব্যাপক বিকাশ করা হবে। বাবু ডাইং-এ একটি ওয়াচ টাওয়ার করার পরিকল্পনা রয়েছে। পদ্মা ও মহানন্দা নদীর তীরে পর্যটকদের আকর্ষণ করতে নানারকম পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, পর্যটন প্যাকেজ করে চাঁপাইনবাবগঞ্জের সবগুলো জায়গা একসাথে ঘুরে দেখার পরিকল্পনা করা হবে। জেলা প্রশাসনের পক্ষে দারাসবাড়ি ও চামচিকা মসজিদ নিয়ে ব্যাপক পরিকল্পনা করা হয়েছে। ছোট সোনামসজিদের সামনে যে কবরগুলো রয়েছে, তাতে কারা সুয়ে আছে তাদের তথ্য খুঁজে বের করা হবে। এতে আরও আগ্রহী হবে পর্যটকরা। সোনামসজিদ স্থলবন্দর ইমিগ্রেশন চালুর বিষয়ে কথা হয়েছে। দেশের মানুষ এই স্থলবন্দর ব্যবহার করে ভারতে যাওয়ার পথে স্থাপনাগুলো যাতে দেখে তা বিবেচনা করে পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে।

সভায় বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাড. আব্দুস সামাদ বলেন, চাঁপাইনবাবগঞ্জের ভোলাহাটের রেশমসহ নানা ঐতিহ্যবাহী জায়গা রয়েছে। প্রাচীনকালের বিশ্ববিদ্যালয় দারাসবাড়ি মসজিদ যাওয়া যায় না। রাস্তাঘাট ঠিক করতে হবে। তাতে সবাই সহজে যেতে পারবে। এছাড়াও অনেক স্বাধীন সংগ্রামের অনেক ইতিহাস ঐতিহ্য জাগয়া রয়েছে। সেগুলোতে যাতে পর্যটক যায়, সেদিকে নজর দিতে হবে।

জেলা কালচারাল অফিসার ফারুকুর রহমান ফয়সালের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট দেবেন্দ্র নাথ উঁরাও, বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের নির্বাহী প্রকৌশলী শফিকুল ইসলাম, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) আহমেদ মাহবুব-উল-ইসলাম, বাংলাদেশ পর্যটন কর্পোরেশনের সোনামসজিদ পর্যটন মোটেলের ইউনিট ম্যানেজার মোহাম্মদ হান্নান মিয়াসহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী ও সরকারি দপ্তরের কর্মকর্তারা।