রংপুর সিটি কর্পোরেশন (রসিক) নির্বাচনে মেয়র পদে দাখিলকৃত ১০ জন প্রার্থীর সকলের মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করেছেন নির্বাচন কমিশন। বৃহস্পতিবার সকালে জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে যাচাই-বাছাই শেষে মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করেন রিটার্নিং কর্মকর্তা আবদুল বাতেন।
যাচাই-বাছাই শেষে বৈধ প্রার্থীরা হলেন, আওয়ামী লীগের অ্যাডভোকেট হোসনে আরা লুৎফা ডালিয়া,জাতীয় পার্টির মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ-ইনু) শফিয়ার রহমান, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমিরুজ্জামান পিয়াল, খেলাফত মজলিশের তৌহিদুর রহমান মন্ডল রাজু, জাকের পার্টির খোরশেদ আলম খোকন, বাংলাদেশ কংগ্রেস পার্টির আবু রায়হান এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী মেহেদী হাসান বনি, লতিফুর রহমান মিলন ও আতাউর জামান বাবু।
রিটার্নিং কর্মকর্তা আবদুল বাতেন জানান, মনোনয়নপত্র যথাযথভাবে পূরণ করা, হলফনামায় ত্রুটি না থাকা, মামলা সংক্রান্ত তথ্য,শিক্ষাগত যোগ্যতা ও রাজনৈতিক দলগুলোর প্রত্যয়ন পত্র সঠিক থাকায় তাদের মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করা হয়েছে।ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী আগামী ২৭ ডিসেম্বর রংপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে । মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিন ৮ ডিসেম্বর। প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হবে ৯ ডিসেম্বর। ২০১২ সালের ২৮ জুন ৩৩টি ওয়ার্ড ২০৫ বর্গ মাইল নিয়ে রংপুর সিটি করপোরেশন গঠন করা হয়। এর পর ওই বছরের ২০ ডিসেম্বর দলীয় প্রতীক ছাড়া রংপুর সিটি কর্পোরেশনের প্রথমবারের মতো নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।
নির্বাচনে এক লাখ ছয় হাজার ২৫৫ ভোট পেয়ে মেয়র নির্বাচিত হন আওয়ামীলীগ নেতা প্রয়াত সরফুদ্দিন আহমেদ ঝন্টু। ওই নির্বাচনে তার জাতীয় পার্টির প্রতিদ্বন্দ্বি মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা পেয়েছিলেন ৭৭ হাজার ৮০৫ ভোট এবং বিএনপি নেতা কাওসার জামান বাবলা পেয়েছিলেন ২১ হাজার ২৩৫ভোট।
২০১২ সালের রংপুর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে মোট ভোটার ছিলেন তিন লাখ ৫৭ হাজার ৭৪২ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার এক লাখ ৭৯ হাজার ১২৮ জন এবং নারী ভোটার এক লাখ ৭৮ হাজার ৬১৪ জন।
২০১৭ সালের ২১ ডিসেম্বর দ্বিতীয় মেয়াদে দলীয় প্রতীকে নির্বাচনে অংশ নিয়ে জাতীয় পার্টির প্রার্থী মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা এক লাখ ৬০ হাজার ৪৮৯ ভোট পেয়ে মেয়র নির্বাচিত হন। তার প্রতিদ্বন্দ্বি আওয়ামী লীগের সরফুদ্দিন আহমেদ ঝন্টু পেয়েছিলেন ৬২ হাজার ৪০০ ভোট এবং বিএনপির প্রার্থী কাওসার জামান বাবলা পেয়েছিলেন ৩৫ হাজার ১৩৬ ভোট। তখন ভোটার সংখ্যা ছিল তিন লাখ ৯৩ হাজার ৯৯৪ জন। এর মধ্যে পুরুষ এক লাখ ৯৬ হাজার ৩৫৬ ও নারী এক লাখ ৯৭ হাজার ৬৩৮ জন।
এবার ভোটার সংখ্যা বেড়ে দাড়িয়েছে চার লাখ ২৬ হাজার ৪৬৯ জন। এরমধ্যে পুরুষ ভোটার দুই লাখ ১২ হাজার ৩০২ জন এবং নারী ভোটার দুই লাখ ১৪ হাজার ১৬৭ জন। এবার ২২৯টি কেন্দ্রে সকাল সাড়ে ৮টা থেকে বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত ইভিএমে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত ।