দীর্ঘ দিন ধরে লিভার সিরোসিস রোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন তিতুমীর কলেজের ব্যবস্থাপনা বিভাগের সেমিনার সহকারী মোঃ রিমন তালুকদার। পারিবারিক ও কলেজসূত্রে জানা যায়, জানুয়ারি মাসের মধ্যে ভারত নিয়ে লিভার ট্রান্সপারেন্ট করতে না পারলে তাকে আর বাঁচানো যাবে না। লিভার ট্রান্সপারেন্ট করাতে প্রায় ৪০-৫০ লাখ টাকা প্রয়োজন কিন্তু পারিবারিক অসচ্ছলতার কারণে উন্নত চিকিৎসা করানোর সম্ভব হচ্ছে না। এদিকে দিন যত পার হচ্ছে ততই দুশ্চিন্তা বাড়ছে রিমন তালুকদারের পরিবারের।

রিমন তালুকদার বর্তমানে বঙ্গবন্ধু মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তিরত অবস্থায় আছেন। এরআগে বেশ কিছুদিন সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজে ভর্তি ছিলেন। রিমন তালুকদারের সাথে কথা হলে তিনি আকুতি করে বলেন, আমি বাঁচতে চাই। সুস্থ হয়ে আবার কলেজে ফিরতে চাই। শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের সহযোগিতা করতে চাই।

রিমন তালুকদারের পরিবারের একজন শাহিন তালুকদার। এ বিষয়ে তার সঙ্গে কথা হলে তিনি জানান, কয়েক বছর আগ থেকেই লিভারের সমস্যা দেখা দেয়। প্রাথমিকভাবে চিকিৎসা করালেও পরবর্তীতে সমস্যা আরও বাড়তে থাকে। তারপর আমরা কয়েকবার হাসপাতালে ভর্তি করাই। ডাক্তার জানায় লিভারের বেশির ভাগ অংশ নষ্ট হয়ে গেছে যদি বাঁচাতে চাই তাহলে লিভার ডোনার জোগাড় করে ভারত নিয়ে যেতে হবে এবং খরচ পড়বে ৪০-৫০ লাখ টাকা। আমরা ডোনারের ব্যবস্থা করেছি বহু কষ্টে। কিন্তু এতগুলো টাকা কিভাবে সংগ্রহ করব বুঝতে পারছি না। তিতুমীর কলেজের ব্যবস্থাপনা বিভাগ থেকে সব সময় খোঁজ খবর রাখছে ও আর্থিকভাবে সাহায্য করছে।

বাণিজ্য প্রতিদিনের সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

তিনি আরও জানান, জানুয়ারির মধ্যে ভারত নিয়ে যেতে হবে। না হয় বিপদ হতে পারে। আমরা রিমনকে নিয়ে দুশ্চিন্তায় আছি খুব। সকলের সহযোগিতা চাই।
এ বিষয়ে তিতুমীর কলেজের উপাধ্যক্ষ প্রফেসর মো: মহিউদ্দিন বলেন, রিমনের বিষয়টি শুনেছি। ইতোমধ্যে বিভাগ থেকে সহযোগিতা করা হয়েছে। কলেজ প্রশাসন থেকে রিমনকে বাচাতে সার্বিক সহযোগিতা করা হবে। সব শিক্ষার্থীদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানাচ্ছি।

এ বিষয়ে ব্যবস্থাপনা বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মোজাক্কার হোসেন চৌধুরি বলেন, আমরা বিভাগের ফান্ড থেকে রিমনকে আর্থিকভাবে সহযোগিতা করেছি। এবং আগামী রবিবার থেকে কলেজে রিমনকে বাচাতে শিক্ষার্থীদের মাধ্যমে ক্যাম্পেন করা হবে। শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের আর্থিক সহযোগিতা নিয়ে আমরা তার পাশে দাঁড়াতে চাই। তিতুমীর কলেজের সকল শিক্ষার্থীকে আহ্বান করছি রিমনকে বাঁচাতে এগুয়ে আসুন।

তিতুমীর কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি রিপন মিয়া বলেন, রিমন ব্যবস্থাপনা বিভাগের সেমিনার সহকারি হলেও সে প্রথমমত আমার বন্ধু। ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে হাসপাতালে ভর্তি থেকে শুরু করে যতটুকু পারছি আমরা তাকে সহযোগিতা করছি। এবং কলেজ প্রশাসনের সাথে সমন্বয় করে আমরা আরও সহযোগিতা করবো। আমরা চাই রিমন আবার সুস্থ হয়ে কলেজে ফিরে আসুক।

তিতুমীর কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মাহমুদুল হাসান জুয়েল মোড়ল বলেন, রিমন ভাইয়ের বিষয়টি নিয়ে আমরা ব্যবস্থা বিভাগের স্যারদের সাথে আলোচনা করেছি। আমরা ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে যতটুকু সহযোগিতা করার প্রয়োজন আমরা তা করব ইনশাআল্লাহ।