পাবনার ঈশ্বরদীতে ট্রেনে কাটা পড়ে শিল্পী খাতুন (৩০) নামের এক নারীর মৃত্যু হয়েছে। রবিবার (১৮ ডিসেম্বর) সকালে ঈশ্বরদী-ঢাকা রেল সড়কের মুলাডুলি এলাকায় শিল্পী খাতুনের মরদেহ পড়ে থাকা দেখে গ্রামবাসী পুলিশে খবর দেয়। জানা যায়, শিল্পী খাতুন পাবনা সদর’র বড়দিকশাইল গ্রামের জনি প্রামাণিকের স্ত্রী ও নাটোর বড়াইগ্রাম উপজেলার গোসাইপুর গ্রামের আব্দুর রশিদের মেয়ে।
ফরিদপুর গ্রামের এক বাসিন্দা বলেন, এক নারীর মরদেহ রেললাইনের পাশে পড়ে থাকতে দেখে এলাকাবাসী পুলিশকে খবর দেয়। ওই নারীর শরীরে ট্রেনের আঘাত রয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে ট্রেনের ধাক্কায় তার মৃত্যু হয়েছে।
ঈশ্বরদীতে ট্রেনে কাটা পড়া গৃহবধূর চাচাতো ভাই টিটু জানান, শনিবার রাতে শিল্পী খাতুনের স্বামী জনি প্রামাণিক মোবাইল ফোনে আমাদের বাড়িতে জানান শিল্পীকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। সকাল ৭টার দিকে শুনতে পাই তার মরদেহ রেল লাইনের পাশে পড়ে আছে।
সিরাজগঞ্জ রেলওয়ে থানার এস আই আব্দুল মতিন জানান, শিল্পী খাতুন রাতের যে কোনো এক সময় ঢাকা-ঈশ্বরদী ট্রেনে আত্মহত্যা করেছেন বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। শিল্পীর মরদেহ উদ্ধার করে সিরাজগঞ্জ রেলওয়ে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে। পরবর্তী করণীয় নির্ধারণ করে জানানো হবে।