সিরাজগঞ্জে তিনদিন ব্যাপী আঞ্চলিক বিশ্ব ইজতেমা শুক্রবার ফজরের নামাজের পর আম বয়ানের মধ্য দিয়ে শুরু করা হয়েছে। জেলা তাবলিক জামায়াত (নিজাম উদ্দিন অনুসারীদের) আয়োজনে এ ইজতেমায় দেশ- বিদেশের প্রায় লক্ষাধিক ধর্মপ্রাণ মুসল্লির সমাগম ঘটবে বলে ধারনা করছেন ওই ইজতেমা কমিটির সদস্যরা।
২৩,২৪,২৫ ডিসেম্বরে তিনদিন ব্যাপী ইজতেমার শেষ দিন ২৫ ডিসেম্বর আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শেষ হবে। সংশ্লিষ্ট সুত্রে জানা যায়, সিরাজগঞ্জ পৌর এলাকার রানীগ্রাম মহল্লায় যমুনা নদীর হার্ড পয়েন্ট এলাকায় প্রায় ২০ একর জমির উপর এ ইজতেমার আয়োজন করা হয়েছে। রাজশাহী, পাবনা, বগুড়া, নাটোর, নওগাঁ, জামালপুর, টাঙ্গাইল, মানিকগঞ্জ ও মাদারীপুরসহ বিভিন্ন জেলা থেকে দলে দলে মুসল্লিরা ইজতেমায় অংশগ্রহন করেছেন।
এছাড়া দুইদিন আগেই মালয়েশিয়া ও ভারত থেকে একদল ধর্মপ্রাণ মুসলমান এসে ইজতেমায় যোগ দিয়েছেন। এদিকে ইজতেমাকে সুন্দর ভাবে সম্পন্ন করতে তৈরী করা হয়েছে বিশাল ওই মাঠটি এবং মুসল্লিদের জন্য সকল সুবিধার ব্যবস্থা করা হয়েছে। ছয়টি খিতরা তৈরী করা হয়েছে এবং প্রতিটি খিতরায় ৪৫০ থেকে ৫০০ লোক থাকতে পারবে এবং ২৫টি পয়েন্টে এ সকল খিতরায় মোট ৩৬০ টি রুম করা হয়েছে। মুসল্লিদের জন্য করা হয়েছে ১২৫টি বাথরুম।
এছাড়াও স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করতে দুইটি মেডিক্যাল টিম রাখা হয়েছে। অন্যদিকে ইজতেমার সার্বিক নিরাপত্তার জন্য একটি পুলিশ ক্যাম্প বসানো হয়েছে। জেলা তাবলিক জামায়াতের সদস্য আলতাব হোসেনসাংবাদিকদের বলেন, ইজতেমার জন্য প্রয়োজনীয় সকল আয়োজনের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
২৩ ডিসেম্বর শুরু এবং ২৫ ডিসেম্বর আখেরী মোনাজাতের মধ্য দিয়ে সিরাজগঞ্জে বিশ্ব ইজতেমা শেষ হবে। সিরাজগঞ্জ সদর থানার ওসি হুমায়ুন কবির বলেন, ইজতেমার সার্বিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা সুনিশ্চিত করা হয়েছে। সেইসাথে ইজতেমায় একটি পুলিশ ক্যাম্পও বসানো হয়েছে। এছাড়াও ইজতেমা চলাকালীন সময়ে পুলিশ ও র্যাবের টহল জোরদার থাকবে বলে উল্লেখ করেন তিনি।