লিখিত পরীক্ষায় জালিয়াতি করে চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউসে সিপাহী পদে মৌখিক পরীক্ষা দিতে আসা ২৩ জনকে আটক করে পাহাড়তলী থানায় হস্তান্তর করেছে কর্তৃপক্ষ।

গত মঙ্গলবার (২৭ ডিসেম্বর) মৌখিক পরীক্ষা নেয়ার সময় তাদের আটক করা হয়। এর মধ্যে বুধবার (২৮ ডিসেম্বর) সকালে ৫ জন এবং আগের দিন মঙ্গলবার ১৮ জনের বিরুদ্ধে কাস্টমসের সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা বুলবুল আহমেদ চৌধুরী বাদী হয়ে নগরের পাহাড়তলী থাকায় দুটি পৃথক মামলাও দায়ের করা হয়েছে।

আটক পরীক্ষার্থীরা হলেন-মো. আবুল বাশার (রোল-১১০৯৯), মোঃ. এনামুল হক (রোল-১২৭৫২), মোঃ. শহীদুল ইসলাম (রোল-১০৮৩২), মোঃ. রফিকুল ইসলাম (রোল-১৩৭৬২), মো, আব্দুর রশিদ (রোল-১৫০১১), সবুজ চন্দ্র (রোল-১৩০৭৬), জয় চন্দ্র দে (রোল-১১২৩৪), আবুল মিয়া (রোল-১২৪১৬), মো. মোবারক হোসেন (রোল-১২৫৬৬), মোঃ. আক্তারুজ্জামান (রোল-১৭০৭৭), মোঃ. খলিলুর রহমান (রোল-১৪১৭২), মোঃ. আরিফুর রহমান (১৫১৫৩), মো. সুজন সরকার (রোল-১৬৪৮৯), নিতোষ চাকমা (রোল-১৭০৭৪), মোঃ, সোহেল রানা (রোল-১৯৯১৭), মো. ইলিয়াছ (রোল-১৯৭৬০), কাজী দেলোয়ার হোসেন (রোল-১৯৯৮৯), মো. মহিউদ্দিন (রোল-১০২০৬)।

বাণিজ্য প্রতিদিনের সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউজের যুগ্ম কমিশনার তারেক হাসান বলেন, চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউসে সিপাহী পদে লিখিত পরীক্ষার জালিয়াতির প্রমাণ পাওয়ায় মৌখিক পরীক্ষা দিতে আসা ২৩ জনকে আটক করে আমরা পাহাড়তলী থানায় হস্তান্তর করেছি। নিয়োগ কমিটি জড়িতদের বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের করেছে। কাস্টমস কর্তৃপক্ষ চায় নিয়োগ প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা আসুক। কোন অনিয়মকে প্রশ্রয় দেয়ার সুযোগ নেই।

কাস্টম সূত্রে জানা গেছে, সিপাহী পদে নিয়োগ দেয়া হবে ৯৮ জনকে। এর বিপরীতে ৩ হাজার ৩৪৪ জন প্রার্থী পরীক্ষায় অংশ নেয়। এরমধ্যে গত ২২ ডিসেম্বর লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ ৩৫০ জন প্রার্থী গত সোমবার, মঙ্গলবার ও আজ বুধবার মৌখিক পরীক্ষায় অংশ নেয়। লিখিত পরীক্ষায় জালিয়াতির বিষয় মৌখিক পরীক্ষার সময় ধরা পড়ায় ২৩ জনকে আটক করা হয়।

উল্লেখ্য, ২০১৪ ও ২০১৭ সালে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হলেও নানা জটিলতায় পরীক্ষাটি নেয়নি কাস্টমস। প্রায় আট বছর পর পরীক্ষা হওয়ায় চাকরির প্রার্থীদের আবেদনের ছবির সঙ্গে বর্তমান চেহারার অনেক পরিবর্তন এসেছে। এ সুযোগকে কাজে লাগিয়ে একটি চক্র মূল প্রার্থীর বদলে অন্যজনকে দিয়ে লিখিত পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করিয়েছে বলে মনে করছে কাস্টমস।