বাজারে চাষিদের দেশী পেঁয়াজ ওঠায় ভারতীয় পেঁয়াজের চাহিদা নাই। দেশি পেঁয়াজে বাজার দখল হয়েছে। দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে পেঁয়াজ আমদানিও কমেছে। শহরে এবং মফস্বল এলাকাতে কমেছে ভারতীয় পেঁয়াজের চাহিদা। পাইকাররা দাবি জানিয়েছেন, ভরা মৌসুমে কৃষকের স্বার্থে পেঁয়াজ আমদানি করা যাবে না।

রাজশাহী জেলার বিভিন্ন বাজারে ঘুরে জানা গেছে, ভারতীয় নতুন ইন্দোর ও নাসিক জাতের পেঁয়াজ ৩৩-৩৫ টাকা আর পুরনো ইন্দোর জাতের পেঁয়াজ ২১-২২ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। যেখানে দেশী পেঁয়াজ ২০-২১ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

খড়খড়ী বাইপাসের পাইকার সেলিম জানান, দেশীয় পেঁয়াজের দাম তুলনামূলক কম এবং গুণগত মানের দিক থেকে দেশী পেঁয়াজ অনেক ভালো। এ কারণে বাজারে ভারতীয় পেঁয়াজের চাহিদা নেই বললেই চলে।

বাণিজ্য প্রতিদিনের সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

রনি ইসলাম নামের আরেক পাইকার জানান, দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে নতুন পেঁয়াজ উঠতে শুরু করেছে। এ সময় ভারতীয় পেঁয়াজ আমদানি করলে দেশের কৃষকরা দাম না পেয়ে লোকসানে পড়বেন। কৃষকরা আবাদে উত্সাহ হারিয়ে ফেলবেন।

রাজশাহীর বাজারের পেঁয়াজ ব্যবসায়ী কামাল হোসেন জানান, বর্তমানে দেশীয় পেঁয়াজের পর্যাপ্ত সরবরাহ রয়েছে। এ কারণে আমদানীকৃত পেঁয়াজের খুব বেশি চাহিদা নেই। বাজারে যে পরিমাণ চাহিদা, তা দেশীয় পেঁয়াজ দিয়েই মিটছে। এছাড়া ভারতীয় পেঁয়াজের দাম বর্তমানে বেশি।

এসব কারণে ব্যবসায়ীরা খুব বেশি পেঁয়াজ আমদানি করছেন না। কিছু ভালো মানের বড় আকারের পেঁয়াজ আমদানি হচ্ছে, যা চট্টগ্রাম অঞ্চলে সরবরাহ করা হচ্ছে। দেশীয় পেঁয়াজের মৌসুম শেষ হলে ভারতীয় পেঁয়াজের চাহিদা যেমন বাড়বে, তেমনি বন্দর দিয়ে আমদানিও বাড়বে। তখন ভারতের বাজারে দাম কমে আসার সম্ভাবনা রয়েছে। ফলে আমদানীকৃত পেঁয়াজের বাজার স্থিতিশীল থাকবে।