বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তিসহ ১০ দফা দাবিতে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশ শুরু হয়। সমাবেশে মোট আট জেলা থেকে বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা এতে অংশ নিয়েছে। রাজশাহীর সোনাদীঘির মোড়ে বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশের মঞ্চে মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এরশাদ আলী ঈশার সভাপতিত্বে সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস।
শনিবার (৪ ফেব্রুয়ারি) দুপুর দুইটা থেকে রাজশাহী মহানগরীর সোনাদীঘী মোড়ে বিএনপির এই সমাবেশ শুরু হয়। নির্ধারিত সময়ের আগেই সমাবেশ ঘিরে বিভাগের বিভিন্ন এলাকা থেকে মিছিল নিয়ে সমবেত হন নেতা-কর্মীরা।
প্রধান অতিথি ও স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস জানান, মামলা গ্রেফতার করে ভীতি সঞ্চারের অপচেষ্টা করা হচ্ছে। বিএনপি নেতাকর্মী সমর্থক সব ভীতিকে জয় করে স্মরনকালের সর্ববৃহত সমাবেশ করে এর জবাব দেয়া শুরু করেছে। গণআন্দোলনের মাধ্যমে সরকার পতন করা হবে।
বিএনপির চেয়ারপারসনের অন্যতম উপদেষ্টা মিজানুর রহমান মিনু জানান, রাজশাহী অঞ্চল বিএনপির দূর্গ। তা আবার প্রমাণ করার সময় এসেছে। কোন জোট নয় এককভাবে বিএনপি বিশাল সমাবেশ করে দেখিয়ে দিতে চায় তাদের জনপ্রিয়তার কথা। বিএনপি নেতাকর্মীরা যত তৎপর হচ্ছে ততই পুলিশ গায়েবী মামলা দিয়ে বিভিন্ন থানায় মামলা গ্রেফতার শুরু করেছে। রাজশাহীর থানায় থানায় বিএনপি নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে নতুন করে গায়েবী মামলা করা হলেও শত বাধারদেয়াল পেরিয়ে আমাদের সমাবেশ সফল হয়েছে বলে জানান তিনি।
আট জেলা শাখার সভাপতি-সম্পাদকরাসহ নেতারাও এতে বক্তব্য দেন। দলে দলে মিছিল নিয়ে সমাবেশে অংশ নিয়েছে নেতা-কর্মীরা। অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে সতর্ক অবস্থানে রয়েছে পুলিশ।